প্রথম থেকেই টিকার (Coronavirus Vaccine) দিয়ে জোর দিয়ে আসছে কেন্দ্র৷ কোভিডের প্রথম ঢেউয়ে সর্বাধিক আক্রান্ত হচ্ছিলেন বয়স্করা৷ তাই টিকার (Coronavirus Vaccine) ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার ছিল তাঁদেরই৷ টিকার প্রথম সারিতে ছিলেন ফ্রন্ট লাইন ওয়ার্কার্সরাও৷ এর মাঝে কোভিড গ্রাফের ওঠানামা হয়েছে বিস্তর৷ দ্বিতীয় ঢেউ পার করে এই মুহূর্তে তৃতীয় ঢেউয়ের সঙ্গে লড়ছে ভারত৷ ডেল্টার পর এসেছে ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট৷ ওমিক্রন ভারতে গোষ্ঠী সংক্রমণের (Community Transmission) পর্যায়ে রয়েছে বলে জানিয়েছে কেন্দ্র৷ দেশের বেশ কয়েকটি মেট্রো শহরে এর সংক্রমণ ব্যাপকহারে ছড়িয়ে পড়েছে৷ সিংহভাগ লোকের টিকা হয়ে গেলেও শিশু-কিশোরদের টিকা নেওয়া এখনও সম্পূর্ণ হয়নি৷ তবে রাষ্ট্র তাদের টিকাদানকেই গুরুত্ব দিচ্ছে৷
advertisement
আরও পড়ুন - লঞ্চ থেকে গঙ্গায় মরণঝাঁপ বাবার, সাক্ষী থাকল দুই ছেলে! শিউরে উঠলেন যাত্রীরা
এই মুহূর্তে৷ দেশের কোথাও সম্পূর্ণভাবে স্কুল খোলেনি৷ পড়ুয়াদের স্বাস্থ্যের কথা ভেবেই বন্ধ রাখা হচ্ছে স্কুলের দরজা৷ কিন্তু কিশোর-কিশোরীদের টিকা দেওয়ার আগে পিতামাতার সম্মতি চাওয়া নিয়ে অনেক বিভ্রান্তি রয়েছে৷ স্কুল এবং কলেজ প্রাঙ্গণে ১৫-১৭ বছর বয়সীদের জন্য টিকা ঘোষণা করার পরে এই সমস্যাটি সামনে এসেছিল। স্কুলগুলির ধারণা,পড়ুয়াদের টিকা দেওয়ার আগে তাদের পিতামাতার লিখিত বা মৌখিক (Written or Oral) সম্মতি প্রয়োজন। কিন্তু তা যে একেবারেই ঠিক নয়, তা নিশ্চিত করেছেন ডাঃ দেশাই৷ তিনি জানান, স্কুলগুলি কোনওভাবেই শিক্ষার্থীদের অভিভাবকদের কাছ থেকে সম্মতিপত্র (Consent Letter) আনতে বাধ্য করতে পারে না। নিয়মটি শুধুমাত্র স্কুল বা কলেজগুলিতেই প্রযোজ্য নয়, সমস্ত হাসপাতাল-ভিত্তিক টিকা কেন্দ্রগুলিতেও প্রযোজ্য৷
আরও পড়ুন: হোমের আড়ালেই শিশু পাচারের কারবার, হাওড়ার প্রাক্তন ডেপুটি মেয়রের বৌমা সহ ধৃত ৯
প্রমোদ জগ (Pramod Jog), সিনিয়র শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ এবং কোভিড টাস্ক ফোর্সের সদস্য জানান, বাবা-মায়ের লিখিত সম্মতির প্রয়োজন না থাকলেও টিকা নেওয়ার সময় বাবা-মায়ের সন্তানের সাথে থাকা বাঞ্ছনীয়। এটি যিনি টিকা দিচ্ছেন, তাঁর আস্থা বাড়বে৷ পাশাপাশি অভিভাবকের শারীরিক উপস্থিতি একটি দুর্দান্ত মানসিক সমর্থন। এখন পর্যন্ত, ভারত বায়োটেকের কোভ্যাক্সিন কিশোর-কিশোরীদের জন্য ব্যবহার করা হচ্ছে৷
এই মুহূর্তে ভারতে ওমিক্রন সংক্রমণ মারাত্মক আকার নিয়েছে। লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা চিন্তিত, এভাবে চলতে থাকলে স্বাস্থ্য ব্যবস্থা ভেঙে পড়তে পারে৷ তাই কমবয়সীদের কথা ভেবে সমস্ত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিচ্ছে কেন্দ্র।