আরও পড়ুন: মাঝরাতে শরীরচর্চায় বাধা দিয়েছিলেন, প্রতিশোধ নিতে মায়ের সঙ্গে এমনই ঘৃণ্য কাজ করল ছেলে!
আসলে ব্ল্যাক ফাঙ্গাস হল এমন এক ধরনের রোগ, যা কোনও ভাইরাস বা ব্যাকটেরিয়ার দ্বারা হয় না। ব্ল্যাক ফাঙ্গাস রোগের আসল কারণ হল এক ধরনের বিশেষ প্রকারের ফাঙ্গাস। ব্ল্যাক ফাঙ্গাস হল এক ধরনের সংক্রমন, যা খুবই ক্ষতিকারক। ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের কারণে মানুষের শরীরে বিভিন্ন ধরনের সমস্যার সৃষ্টি হয়। চোখে জ্বালা অনুভব, মুখ, চোখ এবং শরীরের বিভিন্ন অংশ কালো হয়ে যাওয়া, মাথায় ব্যথা অনুভব, মুখের মধ্যে ব্যথা অনুভব ইত্যাদি বিভিন্ন ধরনের উপসর্গ দেখা যায় ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের কারণে।
advertisement
ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের ভয় -
ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের কারণে রোগীরা অন্ধ এবং শরীরের বিভিন্ন অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের কারণে মৃত্যু পর্যন্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। যাদের ব্লাড সুগার লেভেল হাই এবং যে সকল করোনা রোগী অনেক সময় ধরে স্টেরয়েড গ্রহণ করছে, তাদের সবথেকে বেশি ভয় রয়েছে ব্ল্যাক ফাঙ্গাস হওয়ার। এছাড়াও দুর্বল ইমিউনিটির লোক এবং যাদের অর্গান ট্রান্সপ্ল্যান্ট হয়েছে তাদের ব্ল্যাক ফাঙ্গাস রোগের শিকার হওয়ার ভয় রয়েছে।
আরও পড়ুন: পুরু বরফের চাদরে ক্রমাগত ডনবৈঠক বিএসএফ জওয়ানের, দেখুন ভাইরাল ভিডিও
বর্তমানে করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রনের প্রভাবের মাধ্যমে ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের প্রভাব এখনও বেশি লক্ষ্য করা যায়নি। কিন্তু আগের বছরের মতোই কি ব্ল্যাক ফাঙ্গাস তার প্রভাব বিস্তার করতে পারে? এই ব্যাপারে বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন যে, ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের ভয় তাদের সবথেকে বেশি রয়েছে যে সব রোগীরা অনেক সময় ধরে হাসপাতালে ভর্তি থাকে। এছাড়াও যে সকল রোগী অনেক সময় ধরে একটানা স্টেরয়েড গ্রহণ করছে তাদেরও ব্ল্যাক ফাঙ্গাস দ্বারা সংক্রমিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। কিন্তু ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টের জন্য ব্ল্যাক ফাঙ্গাস হওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম রয়েছে।
করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রনের প্রভাবে রোগীদের মধ্যে হালকা এবং মধ্যম লক্ষণ দেখা যায়। এর ফলে সেই সকল রোগীদের বেশি পরিমাণে স্টেরয়েড দেওয়া হয় না। এর ফলে সেই সকল রোগীর ব্ল্যাক ফাঙ্গাস হওয়ার সম্ভাবনা কম।