৩৭ জন তারকা প্রচারকের তালিকা প্রকাশ করে তৃণমূলের তরফে বলা হয়েছে, মমতা বন্দোপাধ্যায়ের আদর্শকে পাথেয় করে ত্রিপুরায় নতুন যূগ আসতে চলেছে। বিধানসভা নির্বাচনের আগে পরিবর্তনের বার্তা নিয়ে দলের শীর্ষ নেতৃত্ব ত্রিপুরায় আসছেন।
আরও পড়ুন: ত্রিপুরাতে জোর টক্কর মোদি-মমতা-শাহর! তিন-তিনটে সভা খোদ প্রধানমন্ত্রীর! চড়ছে পারদ
তৃণমূলের এই বার্তাকে কটাক্ষ করে ত্রিপুরা বিজেপির রাজ্য সম্পাদক, অস্মিতা বণিক বলেন, গত ৫ বছরে নরেন্দ্র মোদির উন্নয়নের মধ্য দিয়ে ত্রিপুরায় নতুন যূগ এসে গেছে। তার জন্য তৃণমূলের দরকার নেই। ত্রিপুরায় পরিবর্তনের দাবি জানাতে আসার আগে, সব আসনে প্রার্থী দিক তৃণমূল।
advertisement
৬০ আসনের বিধানসভার মাত্র ২৮ আসনে প্রার্থী কেন তৃণমূলের? বিজেপি সহ বিরোধীদের তোলা এই প্রশ্নের জবাবে ত্রিপুরা তৃণমূলের দায়িত্ব প্রাপ্ত রাজীব বন্দোপাধ্যায় বলেন, '' ত্রিপুরায় সর্বত্র আমাদের দলের সংগঠন এখনও যথেষ্ট শক্তিশালী নয়। যেখানে আমাদের শক্তি নেই, সেখানে প্রার্থী দিয়ে আমরা বিজেপিকে সুবিধা করে দিতে চাই না।"
আরও পড়ুন: লক্ষ্য ২০২৪-এর লোকসভা, তৃণমূলের সংখ্যালঘু ভোটে সিঁদ কাটতে চায় বিজেপি
যদিও, বাম কংগ্রেস সহ বিরোধীদের দাবি, বিজেপিকে ভোট ভাগাভাগির সুবিধা করে দিতেই ত্রিপুরা নির্বাচনে প্রার্থী দিয়েছে তৃণমূল। রাজীবের অবশ্য দাবি, তৃণমূলের প্রার্থী তালিকা থেকে সেটা প্রমাণ হয় না। ত্রিপুরায় বিজেপির প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহার বিরুদ্ধে প্রার্থী দিলেও, তৃণমূল ছেড়ে কংগ্রেসে ফিরে যাওয়া সুদীপ রায় বর্মণের আসনে কোনও প্রার্থী দেয়নি তৃণমূল। দেয়নি তার কারণ, মমতা বন্দোপাধ্যায়ের নীতিই হল, যে যেখানে শক্তিশালী, সে সেখানেই বিজেপির বিরুদ্ধে লড়ুক। এর পরেও তৃণমূলের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ খাটে না বলেই দাবি রাজীবের৷
এ দিকে, ত্রিপুরা নির্বাচনের প্রচারের জন্য বাকি আর ১৩ দিন। এই সময়ে তৃণমূলের তারকা প্রচার তালিকা প্রকাশ নিয়ে তৃণমূলকে কটাক্ষ করেছে রাজ্য বিজেপিও। রাজ্য বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য বলেছেন, 'এটা তৃণমূলের পলিটিক্যাল ট্যুরিসম। বেড়াতে যাওয়ার জন্য তৃণমূল ত্রিপুরায় যেতেই পারে। কিন্তু, ভোটের আশা যেন না করে।'