গতকাল দিল্লিতে বিজেপির জাতীয় সম্পাদক অনুপম হাজরা বলেন, দলের নেতারা চলে গেলে সেটাকে লঘু করে দেখানোর চেষ্টা তা ঠিক নয়। তার দাবি সাংগঠনিক নেতা সাংসদরা চলে গেলে দলীয় নেতৃত্ব যে হালকা মনোভাবের পরিচয় দিচ্ছে তা কাম্য নয়। এর পরেই বিকেলে পাল্টা তোপ দাগেন দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেন, জাতীয়স্তরের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী অন্য দল থেকে আসা লোকদের দলে নেওয়া হয়েছিল। তিনি আরও বলেন, "যারা এসব বলছেন তাঁরা দলকে কী দিয়েছেন? নাম বলব না, সবাইকে চ্যালেঞ্জ করছি। আপনি নিজেকে প্রশ্ন করুন, আপনি দলকে কী দিয়েছেন? আর দল আপনাকে কী দিয়েছে? দিলীপ ঘোষ বলবে। সে দলকে দাঁড় করিয়েছে। বিবৃতি দিয়ে, ফেসবুক করে রাজনীতি হয় না। "
advertisement
আরও পড়ুন: ক্ষমতার ৮ বছর! ২০১৪ থেকে সুশাসনের লক্ষ্যে কোন কোন প্রকল্প শুরু করল মোদি সরকার?
প্রাক্তন রাজ্য সভাপতির মন্তব্যের পাল্টা আজ সরব হন অনুপম হাজরা। তিনি বলেছেন,এটা তাঁর বোঝা উচিত, আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সামাজিক মাধ্যমের ওপর কতটা গুরুত্ব দেন। যদি সামাজিক মাধ্যমের গুরুত্ব না থাকত, তাহলে তিনি এত গুরুত্ব দিতেন না। দলে বুদ্ধিমত্তার মাধ্যমেও অবদান রাখা যায়। সবসময় যে আন্দোলন করেই নজরে আসতে হবে, সেটা ঠিক নয়। নীরবে, পিছন থেকেও অনেক অবদান রাখা যায়।" অনুপম হাজরা বলেন,, "তিনি হয়ত সেই ব্যাপারটা জানেন না।" তিনি আরও বলেন, কেউ যদি দুধ থেকে সোনা আবিস্কার করতে যান, এইরকম আইনস্টাইন মার্কা কথা বলেন, সেক্ষেত্রেও সংগঠনের ক্ষতি হয়। আমার মনে হয়, সবদিক থেকে ভেবেচিন্তে কথা বলা উচিত।" প্রসঙ্গত উল্লেখ্য , বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি ক্ষমতায় আসতে না পারার পর থেকেই সরব হয়েছেন একের পর এক বিজেপি নেতা। মুকুল রায় থেকে শুরু করে সাম্প্রতিক কালে অর্জুন সিং যোগ দিয়েছেন তৃনমূলে। আজ আর তাতেই বঙ্গ বিজেপির ফাটল চওড়া হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে কীভাবে দলকে চাঙ্গা করা যাবে সেই পথ খুঁজে দেই দিশেহারা বিজেপি নেতৃত্ব।
RAJIB CHAKRABORTY
