মোহিত চৌহান
নয়াদিল্লি: বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগ প্রধান শেখ হাসিনা লোকাল 18-কে দেওয়া এক বিশেষ সাক্ষাৎকারে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার, মুহাম্মদ ইউনূস, পাকিস্তানের ভূমিকা এবং ভারত–বাংলাদেশ সম্পর্ক নিয়ে খোলাখুলি কথা বলেছেন। তিনি ভারতকে বাংলাদেশের বিশ্বস্ত বন্ধু বলেছেন এবং বিশ্বাস প্রকাশ করেছেন যে সাময়িক রাজনৈতিক অস্থিরতার পরও দুই দেশের সম্পর্ক মজবুত থাকবে।
advertisement
হাসিনা বলেন, “আওয়ামী লীগ বাংলাদেশের ইতিহাস এবং তার স্বাধীনতা সংগ্রামের সঙ্গে গভীরভাবে যুক্ত একটি দল। আমরা আগেও হত্যার চেষ্টা, সামরিক শাসন এবং রাজনৈতিকভাবে আমাদের শেষ করার বারবার চেষ্টা মোকাবিলা করেছি। আমার মৃত্যুদণ্ড একটি ‘ক্যাঙ্গারু কোর্ট’ দিয়েছে, যারা একটি অনির্বাচিত অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ইশারায় চলছে। আমরা আশা করি এবং বিশ্বাস করি, দেরিতে হলেও বাংলাদেশে গণতন্ত্র ফিরে আসবে এবং আমাদের দলও তার সঠিক এবং সম্মানজনক স্থান পাবে। দলের ওপর বর্তমান নিষেধাজ্ঞা, আসলে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের নিরাপত্তাহীনতা এবং আসল গণতান্ত্রিক প্রতিযোগিতার ভয়কে প্রকাশ করে।”
হাসিনার সংযোজন, কোনও দলের ওপর নিষেধাজ্ঞা হলে তার লাখ লাখ সমর্থককে শেষ করা যায় না। আওয়ামী লীগকে জনগণ নয় বার নির্বাচিত করেছে, কারণ আমাদের শিকড় দেশের প্রতিটি গ্রাম এবং মহল্লায় ছড়িয়ে রয়েছে। আমরা আইনগত, কূটনৈতিক এবং শান্তিপূর্ণভাবে আমাদের সংগ্রাম চালিয়ে যাব, যাতে বাংলাদেশ আবার তার জনগণের হাতে ফিরে যায়।
এরপরই হাসিনার উদ্দেশ্যে প্রশ্ন করা হয়, ISI-র সক্রিয়তা, পাক সেনাপ্রধানদের সঙ্গে বৈঠক, ভারতের নর্থ-ইস্ট-কে ‘গ্রেটার বাংলাদেশ’ দেখানো, শিলিগুড়ি করিডোর নিয়ে মন্তব্য – মুহাম্মদ ইউনূসের পাকিস্তানের সঙ্গে বাড়তে থাকা ঘনিষ্ঠতা এবং ভারতকে উস্কানি দেওয়া — এই সব বিষয়ে আপনার মত কী?
উত্তরে হাসিনা বলেন, “আন্তর্জাতিক সংগঠনগুলো সর্বসম্মতভাবে ইউনূসের কাজের নিন্দা করেছে। তার সরকারের সদস্যরা প্রতিবাদে পদত্যাগ করছে এবং লাখ লাখ বাংলাদেশি তার খেলা বুঝতে শুরু করেছে। এতে অবাক হওয়ার কিছু নেই যে ইউনূস পাকিস্তানকে জড়িয়ে ধরতে ব্যস্ত, তিনি এমন এক আঞ্চলিক খেলোয়াড়ের কাছে যাচ্ছেন, যাকে তিনি ভাল ভাবে বোঝেনও না এবং যে কোনও ধরনের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতির জন্য ভিক্ষা করছেন।” ইউনূসের কূটনৈতিক দক্ষতা নেই এবং না আছে তা চালানোর জনাদেশ, এমনই দাবি হাসিনার। আমি ভারতের ধৈর্যের প্রশংসা করি, তারা এমন নেতার জন্য অপেক্ষা করছে, যে আমাদের দেশের প্রতিনিধিত্ব করতে পারবে, শুধু চরমপন্থীদের নয়।”
