অন্যদিকে, এদিন বিকেলে সংসদে নাগাল্যান্ড নিয়ে বিবৃতি দিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ(Amit Shah)। দুই কক্ষে ভাষণে তিনি বলেন, গোয়েন্দা ইনপুট থাকলেও, ভুল বোঝাবুঝির কারণেই গ্রামবাসীদের মৃত্যু হয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে নিহত গ্রামবাসীদের ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে। চাপা উত্তেজনা থাকলেও পরিস্থিতি আপাতত নিয়ন্ত্রণে বলে জানান কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। আজ বিকেল ৩টেয় লোকসভা এবং বিকেল চারটেয় রাজ্যসভায় নাগাল্যান্ড নিয়ে বিবৃতি দেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। নিরাপত্তা কর্মীদের গুলিতে গ্রামবাসীদের মৃত্যুর ঘটনায় দুঃখপ্রকাশ করেন তিনি।
advertisement
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী (Amit Shah) সংসদে বিবৃতিতে বলেন, "কেন্দ্রীয় সরকার এই দুর্ভাগ্যজনক ঘটনার জন্য আন্তরিকভাবে দুঃখিত, এবং মৃতদের পরিবারকে সমবেদনা জানাই।" এই ধরণের ঘটনার যাতে পুনরাবৃত্তি না হয়, সেদিকে লক্ষ্য রাখা হবে এবং সুনিশ্চিত করা হবে বলে সংসদে জানান অমিত শাহ। মন জেলায় শতাধিক নিরাপত্তাকর্মীর টহলদারীর সময় কোথায় গলদ ছিল, বিশেষ তদন্তকারী দল গঠন করে তা চিহ্নিত করা হবে বলে সংসদে আশ্বাস দেন অমিত শাহ।
আরও পড়ুন: কলকাতায় চাই সবুজ-ঝড়, দুদিনেই 'গুরুদায়িত্ব' সামলাবেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়
এদিকে, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্যে সন্তুষ্ট নয় বিরোধীরা। তাঁর বক্তব্যের কিছুক্ষণ পরেই ওয়াকআউট করে বিরোধীরা। কংগ্রেস, ডিএমকে, সমাজবাদী পার্টি, বিএসপি, এবং এনসিপি ওয়াকআউট করলেও তৃণমূল তা করেনি। তৃণমূলের তরফে বলা হয়েছে, ওয়াকআউট করাই সব সমস্যার একমাত্র সমাধান নয়। তৃণমূলের লোকসভার নেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, নাগাল্যান্ডে শান্তি ফেরাতে ভারত সরকারকে এক সময় প্রচুর কাঠ-খড় পোড়াতে হয়েছিল। নাগাল্যান্ডের বুকে বসে সেসময় যারা আন্দোলন করতেন, তাদের হেডকোয়ার্টার ছিল লন্ডনে। সেখান থেকে তারা অপারেশন করতেন। কিন্তু হঠাৎ করে গতকাল অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক একটি ঘটনা ঘটে গিয়েছে।
তাঁর কথায়, " আমাদের প্রত্যাশা ছিল নিরীহ যে শ্রমিকদের প্রাণ গিয়েছে, তাদের ক্ষতিপূরণের বিষয়টি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্যে উল্লেখ থাকবে। যদিও তা ছিল না। এমনকী, ওয়াকআউট হয়ে যাওয়ার পরেও আমরা দাঁড়িয়ে বলার চেষ্টা করেছিলাম যারা ওয়াকআউট করল না, তাদের কথা শুনুন। ক্ষতিপূরণের কথা ঘোষণা করুন। কিন্তু আশ্চর্যজনক ভাবে এই বিষয়টি উত্থাপিত হল না।"
সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের দাবি, দায় এড়িয়ে যেতে পারে না মোদি সরকার। ফের সুযোগ পেলে বিষয়টি তোলা হবে বলে জানান তিনি। নাগাল্যান্ডের ঘটনায় গোয়েন্দা ব্যর্থতাকে দায়ী করেন সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, "নাগাল্যান্ডে ইন্টেলিজেন্স ফেলিওর হতে পারে। মনে রাখতে হবে মায়ানমারের সঙ্গে যোগসাজশ করে চলার বিষয় রয়েছে, সে দেশে এরকম জঙ্গিগোষ্ঠী রয়েছে। সুতরাং খুব গভীরে গিয়ে অনুসন্ধান করা দরকার। উত্তর-পূর্বাঞ্চলের দিকে সজাগ দৃষ্টি রাখবে তৃণমূল কংগ্রেস।" নাগাল্যান্ড নিয়ে আজ সকালে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে বৈঠক করেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভাল।