শুধু কী তাই! মহিলা সংরক্ষিত হওয়ায় দুই বৌমাকে দিয়ে আরও দশটি বছর অর্থাৎ মোট ২৫ বছরের গ্রাম শাসন ছিল তার হাতেই। শারীরিক পরিস্থিতির কারণে এবং সাংগঠনিক কারণে বিগত দুইবারের পঞ্চায়েত নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেননি তিনি। কিন্তু এবারে জনগণের পঞ্চায়েত গড়ার আহ্বানে আবারও শামিল হয়েছেন নির্বাচনী লড়াইয়ে।
advertisement
চারিদিকে পঞ্চায়েত স্তরে যেখানে দুর্নীতির ভুরিভুরি অভিযোগ সেখানে ব্যতিক্রমী বিজয় বাবুকে রাজনৈতিক জগতে বিরল চরিত্র হিসাবে তুলে ধরতে চাইছেন স্থানীয় বাম নেতৃত্ব। শান্তিপুর অঞ্চলের সবচেয়ে প্রবীণ পঞ্চায়েত প্রার্থী। তার সততা নিয়ে প্রশংসা শোনা গেছে বিরোধী রাজনৈতিক দলের মধ্যেও।
স্মৃতি রোমন্থন করে বিজয়বাবু জানালেন, ৮০ এর দশকে হুগলি জেলা থেকে পাড়ি জমান শান্তিপুরে। প্রবীণ বাম নেতা প্রয়াত অজিত দাসের সান্নিধ্যে কৃষক আন্দোলনের মধ্যে দিয়ে সরাসরি রাজনীতিতে প্রবেশ।
নিজের হাতে একাধিক আবাস প্রকল্পে ঘর পাইয়ে দিয়েছেন সাধারণ ভোটারদের। কিন্তু নিজে কখনও ঘরের জন্যে আবেদন করেননি। পঞ্চায়েত সদস্য হিসাবে বাড়তি সুবিধা কখনও ভোগ করেননি বলে দাবি তাঁর। আজও দিনের আলো ফুটলে বেরিয়ে পড়েন খেতের কাজে। খেত মজুরদের সঙ্গে তাঁর নাড়ির টান। কাজে যাওয়ার সময় লালপাতাকাটাকেও সঙ্গে নিয়ে যান নিজের প্রচারের জন্য। ফ্লেক্স ব্যানার হোডিং দেওয়াল লিখন, কিছুই নেই, নেই অর্থও।
আরও পড়ুন: প্রতীক নিয়ে বিরাট কেলেঙ্কারি! তৃণমূলের প্রার্থীই হয়ে গেল নির্দল, চিঠি অভিষেককে
তাই ঘরকন্যা সামলে তাঁর হয়ে প্রচার চালাচ্ছেন ছেলে বউমারাই। চারিদিকে এত আড়ম্বরতা চাওয়া পাওয়া তার মধ্যে, তার এই বিবর্ণ প্রচার সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘‘মানুষের কাছে বিশ্বাসযোগ্যতা ১০০ শতাংশ, সেটাই আমার পুঁজি। কখনও বিক্রি হব না, অন্যায়ের সঙ্গে আপস করব না, সেই ভরসায় আবারও গ্রাম সভার দায়িত্বে আসছি আমি।’’
এই প্রসঙ্গে তার সহকর্মীরা জানান, ” দাদা জিতবেন৷ কারণ উনি আমাদের নিত্যদিনের কৃষক ও শ্রমজীবী মানুষের লড়াইয়ের সঙ্গে ওতপ্রভাবে জড়িত। শ্রেণি সংগ্রামের কথা বামেরা বলে তার মূর্ত প্রতীক উনি৷”
Mainak Debnath






