নদিয়ার মায়াপুরে আয়োজিত এই জনজাতি সম্মেলনে গুজরাট, মহারাষ্ট্র, অসম, ত্রিপুরা, নাগাল্যান্ড থেকে আদিবাসী প্রতিনিধিরা যোগ দিয়েছেন বলে জানান ইসকনের জনসংযোগ আধিকারিক রসিক গৌরাঙ্গ দাস। আদিবাসী সংস্কৃতির সঙ্গে জড়িত নানান বিষয় এই তিন দিন ধরে সম্মেলনে আগত প্রতিনিধিদের সামনে তুলে ধরা হবে।
আরও পড়ুন: শ্মশানের উপর দিয়ে জল প্রকল্পের রাস্তা, গ্রামবাসীদের ক্ষোভের মুখে বেচারাম
advertisement
পাশাপাশি শ্রীচৈতন্যদেবের আদর্শতেও তাদের উদ্বুদ্ধ করার প্রক্রিয়া চলবে বলে জানা গিয়েছে। ইসকন কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, পশ্চিমবঙ্গ সহ দেশের বিভিন্ন রাজ্যে জনজাতি সম্প্রদায়ের শিশুদের পড়াশোনায় পারদর্শী করে তুলতে মোট ১৯০ পাঠশালা ও ১৮ টি স্কুল চলছে। যেখানে প্রায় ৫,৫০০ জন আদিবাসী ছাত্র-ছাত্রী পড়াশোনা করে। শিক্ষাদান করেন ২৮০ জন শিক্ষক-শিক্ষিকা। পশ্চিমবঙ্গের পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, ঝাড়গ্রামে আদিবাসী শিশুদের শিক্ষাদানের জন্য আবাসিক স্কুল খোলা হয়েছে। সেখানে ৪০ থেকে ৪৫ জন শিক্ষক-শিক্ষিকা প্রতিনিয়ত তাদের শিক্ষাদান করেন।
পাশাপাশি সামাজিকভাবে পিছিয়ে পড়া জনজাতি সম্প্রদায়ভুক্ত এই সব মানুষজনদের মধ্যে শীতবস্ত্র, খাদ্য সামগ্রী সহ বিভিন্ন ধরনের নিত্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী মাঝেমধ্যেই বিতরণ করা হয়। তাঁদের স্বাস্থ্যের কথা মাথায় রেখে অ্যাম্বুলেন্স সহ নানান ধরনের স্বাস্থ্য পরিষেবার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
মৈনাক দেবনাথ