প্রসঙ্গত, বেশ কয়েক বছর আগে এই ভবা পাগলার মেলাতে যাওয়ার জন্য শান্তিপুর নিশ্চিন্তপুর ফেরিঘাটে হয়েছিল অগণিত সাধারণ মানুষের ভিড়। বহু দূর দূরান্ত থেকে প্রচুর সাধারণ মানুষের আগমন ঘটে ওই দিন ফেরিঘাটে। তারপর বেশ কিছুক্ষণ বৃষ্টির কারণে বন্ধ থাকে ফেরিঘাটে পারাপার।
আরও পড়ুন- হাসপাতালে নেই চিকিৎসক! কারা করছেন পশুদের চিকিৎসা? জানলে অবাক হবেন
advertisement
এরপর বৃষ্টি কমতেই নৌকা পারাপার চালু হলে যাত্রীদের তাড়াহুড়োতে একটি নৌকা উল্টে যায়। উল্টে যাওয়ার ফলে নৌকায় থাকা সমস্ত যাত্রী জলে পড়ে যান। যারা সাঁতার জানতেন তারা কোনোরকমে সাঁতরে গঙ্গার পাড়ে উঠে পড়েন। কিছু মানুষকে স্থানীয় বাসিন্দাদের ও পুলিশের তৎপরতায় উদ্ধার করা হয়। বাকি শিশু ও মহিলা সহ বেশকিছু মানুষ গভীর জলে তলিয়ে যায়।
আরও পড়ুন- প্রাকৃতিক দুর্যোগের জেরে ফের গঙ্গা ভাঙন! উদ্বিগ্নে শান্তিপুরবাসী, পরিদর্শনে বিধায়ক
এই ঘটনায় রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়ায় গোটা এলাকায়। ঘটনাস্থলে তৎক্ষণাৎ উপস্থিত হয়েছিল তিন থানার পুলিশ। এবং যোগাযোগ করা হয়েছিল বর্ধমান পুলিশের সাথে। দুই জেলার পুলিশের তৎপরতায় চালানো হয় উদ্ধার কাজ। উদ্ধারে নামানো হয় ডুবুরি, এনডিআরএফের টিম। তলিয়ে যাওয়া মানুষদের উদ্ধার করা হয়৷ কিন্তু পুলিশের উদ্ধারকার্যে দেরি হওয়ার কারণ দেখিয়ে বিক্ষোভ দেখিয়েছিলেন স্থানীয় জনতারা। জানা যায়, উত্তেজিত জনতা ঘাটে থাকা একটি লঞ্চে আগুন ধরিয়ে দেন। পুলিশের উপর ঢিল ছোঁড়া হয় এবং কয়েকজন পুলিশ অফিসার আহত হয় বলে জানা যায়।
এই ঘটনার ভয়ঙ্কর স্মৃতিকে মাথায় রেখে প্রত্যেকবারই তৎপরতার সাথে ফেরিঘাটে নিরাপত্তা বজায় রেখেছে পুলিশ প্রশাসন। গত দু'বছর, করোনা আবহে ভবা পাগলার মেলা বন্ধ ছিল। এবছর বিধি নিষেধ উঠে যাওয়ার ফলে মেলা আবার চালু হয়।
তবে এ বছর মেলায় লোকসমাগম বেশি হওয়ার অনুমান করছেন স্থানীয় পুলিশ প্রশাসন। সেই কারণেই মেলা শুরু হওয়ার আগে থেকেই ফেরিঘাটে কড়া নিরাপত্তা ও নজরদারি চালাচ্ছে শান্তিপুর থানার পুলিশ।
Mainak Debnath