নদিয়ার ভারত বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী কৃষ্ণগঞ্জ ব্লকের শিবনিবাস গ্রাম পঞ্চায়েতের দাসপাড়া এলাকার বাসিন্দা বিকাশ চন্দ্র দাস ও সমীর কুমার দাস। এরা দুজন সম্পর্কে ভাই হন। বড় ভাই বিকাশ চন্দ্র দাস বিজেপি প্রার্থী ও কাকাতো ভাই সমীর দাস শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস থেকে টিকিট পেয়েছেন। প্রার্থী তালিকা প্রকাশ্যে আসতেই জল্পনা শুরু হয়েছে এলাকাবাসীদের মধ্যে।
advertisement
বিকাশ চন্দ্র দাস ও সমীর কুমার দাস উভয়ই আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনে এবার শাসক বিরোধী পক্ষের মনোনীত প্রার্থী হিসেবে কৃষ্ণগঞ্জ ব্লকের শিবনিবাস গ্রাম পঞ্চায়েতের ১০২ নম্বর বুথে লড়াই করবেন। বিগত লোকসভা ও বিধানসভা নির্বাচনে ওই বুথে বিজেপি প্রার্থী প্রচুর ভোটে জয়লাভ করেছিল। এরপর থেকেই ১০২ নম্বর বুথে নিজেদের জমি পুনরুদ্ধার করতে কার্যত আদা জল খেয়ে ভোটের ময়দানে নেমে পড়েছে শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস।
আরও পড়ুন: মাসে মাসে ৩০০০ পাবেন বাংলার মহিলারা? লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের ‘সত্যি’ নিয়ে মুখ খুললেন মমতা
আসন্ন ত্রিস্তর পঞ্চায়েত নির্বাচনে দাসপাড়া এলাকার বাসিন্দা পেশায় কাঠের ব্যবসায়ী সমীর কুমার দাসকে প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করে তৃণমূল নেতৃত্ব। পাশাপাশি আসনটিকে ফের নিজেদের দখলে রাখতে দাস পরিবারের বড় ছেলে পেশায় টোটো চালক বিকাশ চন্দ্র দাসকে প্রার্থী হিসাবে বাছাই করে রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল বিজেপি।
আরও পড়ুন: আলু তো সবজির ‘রাজা’…! কিন্তু জানেন কি সবজির ‘রানী’ কে? এই ‘নাম’ শুনলে চমকে যাবেন!
এখন প্রশ্ন একটাই, রাজনৈতিক ভাবে একই পরিবারের দুই ভাই শাসক ও প্রধান বিরোধী দলের প্রার্থী হয়ে ভোটের লড়াইয়ে নামলেও তার কোনও প্রভাব পড়বে কি তাদের পারিবারিক জীবনে? যদিও এই প্রসঙ্গে পারিবারিক বা ব্যক্তিগত জীবনে রাজনৈতিক রঙের কোনও প্রভাব পড়বে না বলে দাবি করেছেন তৃণমূল প্রার্থী বিকাশ চন্দ্র দাস ও বিজেপি প্রার্থী সমীর দাস। রাজনৈতিকভাবে মতাদর্শ আলাদা হলেও একই পরিবারের দুই ভাই হিসেবে পারিবারিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে নিজেদের মধ্যে ভ্রাতৃত্বের সম্পর্কে কোনও প্রভাব পড়বে না বলে দাবি করেন দুজনেই।
আরও পড়ুন: মাসে মাসে ৩০০০ পাবেন বাংলার মহিলারা? লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের ‘সত্যি’ নিয়ে মুখ খুললেন মমতা
তবে আগেও এই বুথে বিজেপি জয়লাভ করেছে বহু ভোটে। এবারের নির্বাচনেও তিনিই জয়লাভ করবেন বলে আশাবাদী বিকাশ। এই প্রসঙ্গে তৃণমূল প্রার্থী সমীর কুমার দাস বলেন, রাজনীতি রাজনীতির জায়গায়, আর পরিবারের দিক থেকে ভাই ভাইয়ের জায়গায় যেমন ছিল তেমনই থাকবে। এর কোনও প্রভাব পড়বে না ব্যক্তিগত জীবনে। গ্রামবাসীরা কেউ হাসির ছলে, কেউ আবার তাচ্ছিল্যের সুরে বলছেন দুই ভাই একই পরিবারের প্রার্থী যে কোন একটা ভাই তো জিতবেই । সময় বলবে আপাতত নির্বাচনের গণনার দিন পর্যন্ত দেখার অপেক্ষা কার মুখে শেষ হাসি ফোটে।
মৈনাক দেবনাথ