এদিন প্রচারে বেরিয়েছিলেন ২৪৯ নম্বর বুথের তৃণমূল প্রার্থী কৃষ্ণপদ রাহা, সমিতিতে পুতুল দাস। যদিও অন্যত্র প্রচারে ব্যস্ত ছিলেন জেলা পরিষদের প্রার্থী বাসন্তী সরকার। তবে ২৫৯ নম্বর বুথে কৃষ্ণ বাবুর স্ত্রী গতবার এবং তার আগে একবার নিজের পঞ্চায়েত সদস্য জয়ী হয়েছিলেন এই বুথ থেকেই। এবারে তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী বিজেপির গৌরাঙ্গ বিশ্বাস, সিপিআইএমের লক্ষী রাহা। তিনি অবশ্য প্রতিদ্বন্দ্বী বলতে রাজি নন, কারণ তার এলাকায় ভোট হয় উৎসবের মেজাজে।
advertisement
জয়ের ব্যাপারে ১০০ শতাংশ নিশ্চিত হয়ে কৃষ্ণবাবু বলেন,” মুখ্যমন্ত্রী যে বিভিন্ন ধরনের মানবিক প্রকল্প মানুষের বাড়ি বাড়ি পৌঁছে দিয়েছে, তাতে শুধুমাত্র ভোটে অবতীর্ণ হওয়ার কথাটা সাধারণ মানুষকে জানানো ছাড়া আর তার কোনও কাজ নেই। বিধায়ক ব্রজ কিশোর গোস্বামীও তাঁর সমর্থনে এসেছিলেন গ্রামে।”
এদিন ভোট প্রচারে যাওয়ার সময়, তারই এলাকায় গৌতম সরকারের দোকানে জিলিপি কিনতে গিয়ে লক্ষ্য করেন একটি ফুলের আকৃতি নিয়েছে। এরপর তিনি তৃণমূলের প্রতীক চিহ্ন জোড়া ফুল তৈরি করতে বলেন। এরপরেই জোড়া ফুলের প্রতীক চিহ্ন জিলিপি খাওয়ান পথ চলতি মানুষদের এবং তার পাশাপাশি আশীর্বাদ নিতে ভোলেননি তাঁদের।
আরও পড়ুন, মেয়াদ বাড়ল মুখ্যসচিবের, আরও ৬ মাস থাকছেন হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী
আরও পড়ুন, অবশেষে ইডি দফতরে হাজিরা সায়নী ঘোষের, পৌঁছেই কী বললেন যুবনেত্রী?
দোকানদার গৌতম সরকার জানান,” মূলত তাঁদের মুদিখানা এবং দশকর্মার দোকান। তবে মাঝেমধ্যে জিলিপিও ভাজা হয়। কড়াইতে জিলিপির প্যাচ থাকলেও এলাকায় সকলেই সহজ সরল মানুষ। তাঁর বোনের শ্বশুর বাড়ির অনুরোধে এবার পাশের বুথে সিপিএমের হয়ে ভোটে দাঁড়িয়েছে বোন মনমেহনী সরকার। যদিও সিপিআইএমের প্রতীক চিহ্ন আঁকা খুব কঠিন এবং অর্ডারও পড়েনি তাই জিলিপি তৈরি করা হয়নি। অন্যদিকে বিজেপির পদ্মফুলেরও অর্ডার পড়েনি। তবে যদি পড়ত সে ক্ষেত্রেও কোনও বাধা ছিল না, কারণ প্রথমত ব্যবসা সকলের জন্য, দ্বিতীয়ত এই এলাকার উৎসবের চেহারায় ভোট হয়।”
Mainak Debnath