ঠিক তেমনই এক ঘটনা ঘটল নদিয়ার শান্তিপুরে। ঘটনাটি ঘটে শান্তিপুর রাধারানী স্কুল সংলগ্ন এলাকাতে। ইমন চ্যাটার্জী নামের স্থানীয় এক ব্যক্তির রয়েছে অনলাইনে আর্থিক লেনদেনের একটি দোকান। প্রতিদিন ওই দোকানে একাধিক ব্যক্তিরা আসে নিজেদের টাকা জমা দেওয়া অথবা তোলার জন্য। ওই দোকানের মালিক অভিযোগ করেন প্রতিদিনের মতো বৃহস্পতিবার সকালে এক ব্যক্তি তাকে এসে বলে তার দাদার অ্যাকাউন্টে ১২০০০ টাকা অনলাইনে পাঠিয়ে দিতে বলে। ইমন বাবুর টাকা চাইলে পরে ওই ব্যক্তি জানায় আগে টাকা পাঠাতে তারপরে সে নগদ টাকা তাকে দেবে।
advertisement
আরও পড়ুনঃ জ্যোতির্বিজ্ঞানে আগ্রহ বাড়াতে ছাত্র-ছাত্রীদের টেলিস্কোপ ব্যবহারের তালিম
তিনি টাকা পাঠিয়ে দেওয়ার পর টাকা চাইলে পরে ওই ব্যক্তি বিভিন্ন অজুহাত দিতে থাকে। ইমন বাবুর সন্দেহ হয় এবং তখনই অভিযুক্ত ওই ব্যক্তিকে আটকে রাখে। এরপরেই চাঞ্চল্য ছড়ায় গোটা এলাকায়। স্থানীয় বাসিন্দারা এসে ওই ব্যক্তিকে ঘিরে ধরে এবং আটকে রাখে। অভিযুক্ত ঐ ব্যক্তির ফোন দিয়ে বিভিন্নভাবে চেষ্টা করা হয় যেই অ্যাকাউন্টে টাকা পাঠানো হয়েছে অনলাইনে তার সাথে যোগাযোগ করার কিন্তু সেভাবে ফলপ্রসূত কাজ হয় না। যদিও অভিযুক্ত ঐ ব্যক্তির বক্তব্যে একাধিক অসঙ্গতির চিহ্ন লক্ষ্য করা গিয়েছে।
আরও পড়ুনঃ বাড়ছে দুর্ঘটনার প্রবণতা, সরকারি স্কুলের পড়ুয়াদের জন্য গাড়ির দাবি
একবার তিনি বলেন তাকে তার কোন এক দাদা টাকাটা অনলাইনে পাঠাতে বলেছে যদিও তার কাছে নগদ টাকা ছিল না। নগদ টাকা না থাকা সত্ত্বেও কিভাবে দোকানে গিয়ে অনলাইনে তিনি টাকা পাঠাতে বলেন সেই বিষয় থেকে যাচ্ছে প্রশ্ন। এর পরবর্তী সময়ে তিনি বলেন অনলাইনে পুরস্কার পাওয়ার কথা বলে তাকে একটি অ্যাকাউন্টে এক ব্যক্তি ওই টাকাটি পাঠাতে বলেন। যদিও সেই ব্যক্তির নাম পরিচয় এখনও পর্যন্ত জানা যায়নি। অভিযুক্ত ঐ ব্যক্তির নামে লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে শান্তিপুর থানায়। লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেছে শান্তিপুর থানার পুলিশ।
Mainak Debnath