আরও পড়ুন: করোনার পর চরম অপুষ্টিতে ভুগছে শিশুরা, সমস্যা মেটাতে চালু পুষ্টি পুনর্বাসন কেন্দ্র
সরকারি সাহায্যের অভাবে বাধ্য হয়ে দিনের পর দিন ছোট্ট কুঁড়েঘরে বসে স্বামী-শ্বশুরের পট শিল্পকে টিকিয়ে রেখেছে এই বৃদ্ধা। রেবা পাল এখন ঠিকমত চলাচল করতে পারেন না। তবু জরাজীর্ণ বারান্দার নিচে বসে জনতা স্টোভে সাগুর আঠা জ্বাল দিয়ে পট চিত্র এঁকে চলেছেন ঘূর্ণির পটুয়া পাড়ার রেবা।
advertisement
পাল বাড়িতে বিয়ে হওয়ার পর থেকেই দেখছেন শশুর ও স্বামীর পটচিত্র আঁকা। ধীরে ধীরে রেবাদেবী নিজেও এই শিল্পে হাত পাকান। সেটাই বর্তমানে তাঁর জীবনধারণের একমাত্র পথ ও অবলম্বন হয়ে আছে। দেবাদেবীর তৈরি পটচিত্র কলকাতার কুমোরটুলি সহ রাজ্য ছাড়িয়ে ভিন রাজ্যে পাড়ি দেয়। সারা বছর কম বেশি কাজ থাকলেও দুর্গাপুজোর সময় পট চিত্রের চাহিদা থাকে বেশি। বৃদ্ধ বয়সে পটচিত্র আঁকড়ে ধরেই দিন কাটছে এই প্রবীণ শিল্পীর।
মৈনাক দেবনাথ