স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার গভীর রাতে ওই বৃদ্ধকে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন কাজে যোগ দিতে আসা অপর এক নিরাপত্তা কর্মী। বিষয়টি জানিয়ে কোতোয়ালি থানায় খবর দিলে, থানা থেকে আধিকারিকের নেতৃত্বে ঘটনাস্থলে ছুটে আসে পুলিশ বাহিনী। পরে ওই বৃদ্ধের রক্তাক্ত দেহটি উদ্ধার করে শক্তিনগর জেলা হাসপাতালে নিয়ে যায় পুলিশ। কর্তব্যরত চিকিৎসক পরীক্ষা করে তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। এরপরই তৎপর হয় কোতোয়ালি থানার পুলিশ। কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই খুনের ঘটনায় যুক্ত থাকার অভিযোগে বুধবার ভোর রাতে প্রীতম মন্ডল ও পলাশ মন্ডল নামক দুই দুষ্কৃতীকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পুলিশ সূত্রে জানা যায়, অভিযুক্ত দুই ব্যক্তির বাড়ি কৃষ্ণনগর পুরসভার অনাদিনগর এলাকায়।
advertisement
এছাড়াও স্থানীয় সূত্র জানা যায় মৃত আশিস কুমার দত্ত বেসরকারি সংস্থার কর্মী হিসেবে সম্প্রতি একটি হিমঘরে নাইট গার্ডের কাজে যোগ দিয়েছিলেন। পুলিশ সূত্রে জানতে পারা যায়, মঙ্গলবার আনুমানিক বেলা ১১ টা থেকে দুপুর ১২টা নাগাদ ধৃত দুই দুষ্কৃতী ওই হিমঘরে ঢোকে লোহার স্ক্র্যাপ চুরি করতে। সেই সময় কর্মরত নিরাপত্তাকর্মী আশিস কুমার দত্ত দুষ্কৃতীদের বাধা দেন।
আরও পড়ুন : বেতন বাকি ৩ মাস, অবস্থান বিক্ষোভে শামিল বিদ্যুৎ দফতরের চুক্তিভিত্তিক কর্মীরা
পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, বাধা পেয়ে হয়ে ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে দুই দুষ্কৃতী। ইট ও বাঁশ দিয়ে আশিসবাবুর মাথায় আঘাত করে ঘনঘন। এরপরই রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে লুটিয়ে পড়েন ওই নিরাপত্তা কর্মী। এদিকে দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে আশিস বাবুর মত একজন বৃদ্ধকে দুষ্কৃতীদের হাতে নৃশংসভাবে খুন হতে হবে স্বপ্নেও ভাবতে পারছেন না নবদ্বীপে বসবাসকারী পরিবারের সদস্যরা। বাড়িতে একমাত্র ছেলে ছোট্ট একটি লজেন্স ও বিস্কুটের দোকান চালান।
আরও পড়ুন : ছাদনাতলায় অভিনব বিয়ে, সব রীতি নীতি পালন করে একই গুরুর সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধলেন ৫ বৃহন্নলা
স্থানীয় কাউন্সিলর নির্মলবাবু জানান, আমার সাধ্যের মধ্যে যতটুকু সম্ভব তা করার চেষ্টা করেছি। তিনি ছিলেন সৎ এবং নির্ভীক একজন মানুষ। শত অভাবেও তার মুখে ছিল হাসি। বিকেলে শক্তিনগর হাসপাতালে ময়নাতদন্তের পর আশিসকুমার দত্তের দেহটি পরিবারের হাতে তুলে দেয় কোতোয়ালি থানার পুলিশ।