নদিয়া জেলা মূলত মন্দির নগরী নামেই পরিচিত। শান্তিপুর নবদ্বীপ মায়াপুর ইত্যাদি স্থানে প্রতিটি উৎসব পালন করা হয়ে থাকে। ঠিক তেমনই অন্যান্য উৎসবের মত রথযাত্রার এই সমস্ত এলাকাগুলিতে জাঁকজমক পূর্ণভাবেই পালন করা হয়। তবে স্নান যাত্রার দিনেও জগন্নাথের বিগ্রহ অবহেলায় পড়ে থাকতে দেখা গেল শান্তিপুরে ধ্রুব নারায়ণ গোস্বামীর বাড়িতে।
advertisement
তিনি জানান ২০১৭ সালে জগন্নাথের রথ যাত্রার শুভ আরম্ভ করা হয় কলকাতার বাগ বাজারে। ঐদিন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন শিল্পী সংসদের একাধিক কর্মকর্তারাও। উল্টোরথের পর এই জগন্নাথ, বলরাম এবং সুভদ্রার বিগ্রহ শান্তিপুরে তার বাড়িতে তিনি নিয়ে আসেন। এবং সেই রথ চলে যায় নবদ্বীপে শিল্পী সংসদের অন্যতম সদস্য সিদ্ধার্থ নস্করের বাড়িতে। এবং তারপর থেকেই প্রতিদিন তার বাড়িতেই কোনওরকমে পূজিত হয়ে আসছেন জগন্নাথদেবের এই বিগ্রহ।
ধ্রুব নারায়ণ বাবুর অভিযোগ, “বিগ্রহ বাড়িতে রাখার কারণে প্রতিদিন তার পূজা অর্চনা ভোগ নিবেদন করতে হয়। আমার স্ত্রী ক্যান্সার আক্রান্ত তার চিকিৎসার কারণে প্রচুর অর্থ ইতিমধ্যেই খরচ হয়ে গিয়েছে। জগন্নাথ দেবের অঙ্গরাগ, পূজার্চনা, ভোগ নিবেদন দিনের পর দিন করে আসছি যা অত্যন্ত খরচ সাপেক্ষও বটে। আমার পক্ষে তা আর সম্ভব হয়ে উঠছে না। শিল্পী সংসদে তহবিল থেকে মাঝেমধ্যে কিছু আর্থিক সাহায্য পেলেও তা যথেষ্ট নয়। এমনকি জগন্নাথ দেবের স্নানযাত্রার দিনেও আর্থিক অভাবেই অবহেলায় রয়েছেন জগন্নাথ, বলরাম সুভদ্রা দেবীর বিগ্রহ।”
আরও পড়ুন: স্নানযাত্রার পরেই জ্বর হয় শ্রী জগন্নাথ দেবের, তারপরেই চলে যান লোকচক্ষুর আড়ালে, কেন জানেন?
যদিও এ বিষয়ে শিল্পী সংসদের সদস্য সিদ্ধার্থ নস্কর জানান, ” দেখুন জগন্নাথদেবের এই বিগ্রহ শিল্পী সাংসদের। উনি আগ্রহ প্রকাশ করে ওনার বাড়িতে বিদ্রোহ নিয়ে যান বা আমরাই ওনার বাড়িতে বিগ্রহ রাখি। কিন্তু উনি যে এরকম অসুবিধায় রয়েছেন তা আমরা জানতে পারিনি। উনি আমাদের একনিষ্ঠ কর্মী। আমরা ওনার সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করছি আমরা চেষ্টা করছি খুব দ্রুতই ওনার এই সমস্যার সমাধান করার।”
Mainak Debnath