ওই কেন্দ্রের প্রায় প্রত্যেক শিশুর অভিভাবক অভিভাবিকাদের দাবি, অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের শিক্ষিকা চম্পা পাল এবং সহকারী শিক্ষিকা দুর্গা বর্মন দু’জনে একসঙ্গে কোনওদিনই কেন্দ্রে উপস্থিত হন না৷ নিজেদের মধ্যে অলিখিত ছুটি নিয়ে কোনওমতে চালান এই আইসিডিএস কেন্দ্রটি। সকাল ৮টায় পড়াশোনা আরম্ভ হওয়ার কথা থাকলেও শিক্ষিকা উপস্থিত হন বেলা ৯টা কিংবা সাড়ে ৯টা নাগাদ৷ এরপর হয় রান্নার আয়োজন৷ তারপরে রান্না করে সাড়ে ১০টার বাড়ি পাঠিয়ে দেওয়া হয় বাচ্চাদের৷ বাড়িতে পড়াশোনা উঠেছে শিকেয়। এভাবেই চলছে দিনের পর দিন। অভিযোগ অভিভাবকদের৷
advertisement
অভিযোগ, এর আগেও একাধিকবার শিশুদের খাবারে কখনও পোকামাকড়, কখনও মশা-মাছি থেকে এক ধরনের বিষাক্ত পোকা দেখতে পাওয়া গিয়েছে৷ তার বিষক্রিয়ায় অসুস্থও হয়েছে বেশ কয়েকজন শিশু। তবে আবারও এদিনের দেওয়া খিচুড়ি খেয়ে অসুস্থ হয়ে যায় ৩ জন। বমি এবং পেট খারাপের সমস্যা শুরু হয়। এরপর শিশুদের চিকিৎসা করিয়ে বৃহস্পতিবার সকালে খিচুড়ির পোকা ধরা ওই বাটি নিয়ে বিক্ষোভ দেখান অভিভাবকরা।
আরও পড়ুন: অধীর চাইছেন ৮টা, ২টোর বেশি দিতে রাজি নন মমতা! বঙ্গে আদৌ হবে তো জোট?
যদিও শিক্ষিকার সাফাই বাচ্চাদের বিদ্যালয়ে না পাঠালে পড়াশোনা করানো সম্ভব নয়৷ অন্যদিকে অভিভাবকরা বলেন, ‘‘একদিকে নিম্নমানের খাবার অন্যদিকে দুজন একসঙ্গে বিদ্যালয়ে না আসা এবং পঠন-পাঠন না পেয়েই তাঁদের মধ্যে এই অনীহা তৈরি হয়েছে।’’
হঠাৎ এত মানুষের বিরুদ্ধাচারণ দেখে শিক্ষিকা দাবি করছেন, তাঁর সঙ্গে রাজনীতি করা হচ্ছে। অসুস্থ বাচ্চার মা সান্ত্বনা বিশ্বাস বিজেপির পঞ্চায়েত সমিতির সদস্যা, ওই অঞ্চলের পঞ্চায়েত সদস্যা রিতা ধারা মণ্ডল অবশ্য নির্দল প্রার্থী বর্তমানে তৃণমূলের সঙ্গে রয়েছে৷ তবে, শুধু তিনি নন, ৪৪ জন বাচ্চার অভিভাবিকা একসঙ্গে এই বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন বলে দাবি রিতার৷ এর সঙ্গে কোনও রাজনৈতিক সম্পর্ক নেই বলেই জানান অভিভাবকেরা।
আরও পড়ুন: শুভেন্দু কাণ্ডে হূলস্থূল, রিপোর্ট জমা পড়ল নবান্নে! নিরাপত্তার প্রশ্নে আরও কড়া নজরদারি
তাঁরা প্রশ্ন তোলেন, শিক্ষিকা স্থানীয় তৃণমূল নেতা নারায়ণ পালের স্ত্রী৷ তাই এর আগেও একাধিকবার প্রতিবাদ করতে গিয়ে কাজ হয়নি। অভিভাবকরা বলেন, ‘‘রাজনীতির ব্যাপার নয়, এখানে বাচ্চাদের জীবন মরণের প্রশ্ন৷ তাই লিখিতভাবে আইসিডিএস অধিকর্তাকে জানানো হবে।’’
Mainak Debnath