দুই ছেলে দীপক সরকার (২২), পঙ্কজ সরকার (১৭) দু'জনের কেউই কথা বলতে পারেন না। না পারেন ঠিক মতো চলাফেরা করতে। বয়স যত বাড়ছে ততোই আস্তে আস্তে মৃত্যুর দিকে এগিয়ে যাচ্ছেন ওই দুই যুবক। কঠিন ব্যয়বহুল রোগে আক্রান্ত মা ও দুই ছেলে। তিন জনের সংসারে তাঁর বাবা কালু সরকার হকারি করে সংসার চালাতেন। মা, অর্চনা সরকার তিনি পরের বাড়িতে রান্নার কাজ করেন। দু'বছর আগে মা অর্চনা সরকারের ব্রেস্ট ক্যান্সার ধরা পড়ার পর রান্নার কাজটিও চলে যায় তাঁর। তারপরই স্বামী বাড়ি ছেড়েছেন আর বাড়ি আসেননি।
advertisement
আরও পড়ুন: প্রেম জোয়ারে পালিয়ে বিয়ে, সুখ শেষ ৪ দিনেই! চরম পদক্ষেপ স্বামীর, শুনলে পা কেঁপে যাবে
কাজ চলে যাওয়ার পর আর সে ভাবে কাজ জোটেনি অর্চনারও। এখন অভাবকে সঙ্গী করে চলতে হচ্ছে তাঁদের তিন জনকে। মাথা গোঁজার ঠাঁই বলতে সরকারের দেওয়া এক খানি ঘর এবং লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পের ৫০০ টাকা। একদিকে ক্যান্সারের চিকিৎসা, অন্যদিকে দুই ছেলের সেবা করা। কঠিন সংগ্রামের মুখে দাঁড়িয়ে ওঁরা সকলে। সরকার পরিবার এখন অন্যের মুখাপেক্ষী হয়ে রয়েছেন। ছোটবেলায় বেশ চলাফেরা করত দুই ছেলে। বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ক্রমশ অসাড় হয়ে যাচ্ছে তাঁদের শরীর। ব্যয়বহুল চিকিৎসা করা তাঁদের কাছে মোটেই সম্ভব হচ্ছে না।
আরও পড়ুন: মুহূর্তের মধ্যে বদলে যাবে আবহাওয়া, রোদ-বৃষ্টির লুকোচুরি জেলায়! কালবৈশাখীর বড় পূর্বাভাস
একদিকে খাওয়া, অন্যদিকে চিকিৎসা-- কোনওটাই ঠিকঠাক হচ্ছে না। দুই ভাই কথা না বলতে পারলে কী, অসম্ভব সুন্দর ছবি আঁকতে পারেন তাঁরা। গত পৌরসভা নির্বাচনে এই এলাকার কাউন্সিলর গোবিন্দ চন্দ্র পোদ্দারের নজরে আসার পর তিনি যতটা পেরেছেন সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিচ্ছেন। এবারে তাঁদের জন্য সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিলেন অন্য এক প্রতিবন্ধী মানুষ।
এই অসহায় পরিবারের কাহিনি শুনে এগিয়ে এসেছেন আরেক ব্যক্তি। তাঁদেরকে সাহায্য করছেন নদিয়ার চাকদহের অন্যতম মুখ দীপেন্দ্রনাথ ভৌমিক। তিনি তাঁর কষ্টার্জিত অর্থের দু'দিনের পারিশ্রমিক দান করেছেন, যা কিনা কিছুটা হলেও অভাব দূর হবে ওই পরিবারের।
মৈনাক দেবনাথ





