তবে সংসারের আর্থিক অভাবের তাড়নায় পড়াশোনার পাশাপাশি বাবাকে সাহায্য করার জন্য বাবার সঙ্গেই পুতুল বানিয়ে কখনও রাস্তার ফুটপাতে কিংবা কখনও মেলাতে গিয়ে পুতুল বিক্রি করে বেড়ায় একাদশ শ্রেণির অসীম। মৃৎশিল্পী গোপাল দত্ত বহু বছর ধরেই মাটির প্রতিমা ও পুতুল বানিয়ে আসছেন নিজের হাতে। কখনও জগন্নাথ দেব বলরাম ও সুভদ্রা, কখনো বা রাধাকৃষ্ণ, শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভু এবং কখনও বিভিন্ন বর বউ ইত্যাদি নানারকম সৌখিন পুতুল তার দক্ষ হাতে নিখুঁতভাবে বানান তিনি।
advertisement
আরও পড়ুন: দশের পরই সোজা কুড়ি টাকা! শিয়ালদহ মেট্রোর টিকিট-মূল্য নিয়ে নেটপাড়ায় তরজা
তাঁর পুতুলগুলি দেখলে মনে হয় এক একটি যেন জীবন্ত মূর্তি! তার এই দক্ষতা রয়েছে তার ছেলের মধ্যেও। ছেলেকেও তিনি মাটির প্রতিমা ও পুতুল তৈরীর সমস্ত শিক্ষাদান করেছেন। গোপাল বাবুর একটি মেয়েও রয়েছে পড়াশোনার পাশাপাশি টিউশনি করে সে। এবং কাজের ফাঁকে সেও বাবার সাথে পুতুল তৈরি করতে লেগে পড়ে। গোপাল বাবুর স্ত্রী একটি স্কুলে মিড ডে মিলের কাজ করেন। পরিবারের আর্থিক অবস্থাকে সামাল দিতে প্রত্যেক সদস্যরাই পরিশ্রম করে চলেছেন লাগাতার।
আরও পড়ুন: শিয়ালদহ মেট্রো চালু হলে কী হবে অটোর? পরিষেবা শুরুর আগেই আশঙ্কায় চালকরা
গত দুবছর লকডাউনের কারণে সেভাবে বিক্রি হয়নি গোপাল বাবুর পুতুল। আগে ঘূর্ণিতে পাইকারি হারে তিনি পুতুল দিয়ে আসতেন। তবে বাস ভাড়া বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে এখন তিনি আর যান না। নিজের ছেলেকে সঙ্গে নিয়ে এই বিভিন্ন মেলায় এবং রাস্তায় ফেরি করে বিক্রি করেন নিজের হাতে বানানো পুতুল। তার ছেলে অসীম দত্ত জানায় ভবিষ্যতে তার ইচ্ছে একজন ডাক্তার হওয়ার। ডাক্তার হয়ে দুস্থ মানুষের সেবা করা এবং তার পাশাপাশি বাবা-মায়ের পাশে দাঁড়ানোই একাদশ শ্রেণির অসীমের প্রধান লক্ষ্য।
মৈনাক দেবনাথ