সূত্রের খবর, অনুযায়ী বিগত ১৫ দিনের মধ্যে ভয়াবহ চুরির ঘটনা প্রায় সাতটি, শান্তিপুর শহর যেন পরিণত হয়েছে চোরেদের স্বর্গরাজ্যে। যদিও জানা যায়, ইতিমধ্যে ক্যামেরার ফুটেজ অনুযায়ী তিনজনকে আটক করেছে শান্তিপুর থানার পুলিশ। কিন্তু তাতেও বিন্দুমাত্র চিন্তিত নয়, চোরেরা।
আরও পড়ুনঃ ইলিশ খাবেন অথচ কাঁটা লাগবে না! শিল্প শহরের এই রেস্তোরাঁয় মিলছে বোনলেস ইলিশ কোফতা
advertisement
রবিবার রাতে শান্তিপুর বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন এলাকায় পাহারাদার থাকাকালীন এক গলির মধ্য থেকে আনুমানিক এক লক্ষ টাকার বিভিন্ন দেব-দেবীর সোনা রুপোর অলংকার চুরি যায়। সম্ভবত, সেই রাতেই কেসি দাস রোডের ঈশ্বর সৌন্দর নাথ দাসের বাড়িতে সর্বস্ব খোয়া যায়। বিধবা ওই বৃদ্ধা শ্যামলী দাস সুবিশাল বাড়িতে একাই থাকেন ওই বাড়িতে। কখনও তার দেওরের ছেলেমেয়েরা এসে থাকেন।
জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার তিনি এক আত্মীয়র বাড়িতে যান, ভুল করে নিয়ে যান বাড়ির চাবিও। এরপর সোমবার সন্ধ্যায় আনুমানিক ছ'টা নাগাদ ফিরে এসে দেখেন, বাইরের দরজা ভেতরের দরজা যেমন থাকে ঠিক তেমনই আছে তবে তালা ভাঙা। শ্যামলী দাসের দেওর শুভাশিস দাস জানান, দু'টি ঘরের তালা ভেঙে দুটি ঘরে থাকা আলমারি ভেঙে এবং তার লকার ভেঙে আনুমানিক ছয় থেকে সাত ভরি সোনা, ১৫ ভরির কাছাকাছি রুপোর বাসনপত্র, নগদ ২০-২৫ হাজার টাকা পাওয়া যাচ্ছে না আপাতত।
আরও পড়ুনঃ বাড়ির পাশেই এমন জায়গা আছে জানতেন? ডিসেম্বরের ছুটিতে না গেলে মিস করবেন
তবে একটি এ্যাটাচি এবং এবং স্মার্ট টিভিও নিয়ে গেছে। ক্যাস সার্টিফিকেট বা অন্যান্য কিছু, খোয়া গেছে কিনা তা বোঝা যাচ্ছে না এই মুহূর্তে। শ্যামলী দাস বলেন, এই বাড়িতে সিসি ক্যামেরা নেই, এমনকি প্রতিবেশীদেরও কারও বাড়িতেও নেই। খবর দেওয়ার সাথে সাথে শান্তিপুর থানার পুলিশ এসে খতিয়ে দেখে যান বিষয়টি। তবে একটি চাবি পাওয়া গিয়েছে এবং অনুমান করা যাচ্ছে দুষ্কৃতীরা অনেক রকম চাবি নিয়ে এসেছিল।
সম্প্রতি, নাতির থাকার কারণে বেশ কিছু রুপোর এবং সোনার গহনা ছিল বাড়িতে। মেয়ের বাড়িতে মাত্র দুদিনের জন্য বেড়াতে যাওয়ার ফলে এই অবস্থা হবে তা ভাবতে পারিনি কখনও। অতীতে এক সপ্তাহ পর্যন্ত না থেকেও কিছু হয়নি কোনওদিন। যদিও পরিবার সূত্রে জানা যায়, ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে শান্তিপুর থানার পুলিশ।