অতীতে মহালয়া শোনার একটা আবেগ ছিল, বাচ্চা থেকে বুড়ো সকলেই ভোর ৪ টের সময় অল্প আওয়াজে রেডিওর সামনে বসে পড়তেন মহিষাসুরমর্দিনী শোনার জন্য এবং যাদের বাড়িতে রেডিও ছিল না তারা চলে যেতেন সেই সমস্ত আত্মীয়-স্বজনদের বাড়িতে দল বেঁধে। দিন বদলাতে থাকল আধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে টেলিভিশন আবিষ্কার হল। সেই দিন থেকে এখনও পর্যন্ত টেলিভিশন, ল্যাপটপ ,স্মার্ট টিভি, স্মার্টফোন ইত্যাদি সমস্ত নিত্যনতুন টেকনোলজিক্যাল বস্তুর আবিষ্কার হল। এবং এই সমস্ত বস্তুর মাধ্যমে, তথা ইন্টারনেটের মাধ্যমে যেকোনো সময়ই সকলেই মহালয়া দেখতে বা শুনতে পারেন।
advertisement
আরও পড়ুন: চাকরির ভরসা নয়, উপার্জনের নতুন পথ দেখাচ্ছে নদিয়ার এই যুবক
কিন্তু , এখনও অনেক মানুষ রয়েছেন যারা অতীতের সেই পরম্পরাকেই ধরে রেখেছেন। তারা এখনও রেডিওতেই বীরেন্দ্র কৃষ্ণ ভদ্রের গলায় মহিষাসুরমর্দিনী শুনতে পছন্দ করেন। তারা কোনও টিভি বা স্মার্টফোনের মাধ্যমে মহিষাসুরমর্দিনী শুনে থাকেন না। সেখানকার বয়স্ক প্রবীণদের পাশাপাশি এমনকি তরুন প্রজন্মর অনেকই কিন্তু এই রেডিওর মাধ্যমেই মহালয়াতে মহিষাসুরমর্দিনীশুনতে বেশি পছন্দ করেন।
আরও পড়ুন: বিশেষভাবে সক্ষম শিশুদের জন্য এগিয়ে এল মায়েরা, তাতেই ঘটল মিরাকেল
জেলার বেশিরভাগ মানুষের মতে রেডিওর মাধ্যমে মহালয়া শোনা একটি আভিজাত্বের ব্যাপার থাকে। তাই এখনও অনেকে সেই অতীতের পরম্পরাকেই অনুসরণ করে থাকে। মহালয়ার আগে তারা চলে যান রেডিও সারাতে। এবং যে সকল ব্যক্তিরা যারা সারা বছর রেডিও সারান না তারাও কিন্তু পুজোর আগে মহালয়ার দরুন একাধিক রেডিও সারানোর মাধ্যমে মুনাফা অর্জন করে থাকেন।
Mainak Debnath