আর এই প্রতিমা নিরঞ্জনের প্রথা দেখতে সারারাত কৃষ্ণনগরে জেগে থাকেন আপামর নদিয়াবাসী। কৃষ্ণনগরের চকের পাড়া, নুড়িপাড়া, মালোপাড়া, বাঘাডাঙ্গা বারোয়ারী, ছোট মা, বড়মা, বুড়িমা এছাড়াও আরও অনেক প্রতিমার নিরঞ্জন দেখতে কৃষ্ণনগরের রাজপথে ভিড় জমান আনুমানিক লক্ষাধিক মানুষ। জলঙ্গী নদীর ঘাটে সারা রাত প্রতিমা নিরঞ্জনের দৃশ্য দেখার জন্য ভিড় ছিল চোখে পড়ার মত। প্রশাসনও ছিল অতি তৎপর, কোনরকম অপ্রীতিকর ঘটনা যাতে না ঘটে সেই কারণে কৃষ্ণনগর বিসর্জন ঘাটে মোতায়েন করা হয়েছিল একাধিক পুলিশ কর্মী।
advertisement
আরও পড়ুনঃ সাড়ম্বরের সঙ্গে পালকিতে করে ঘট বিসর্জন কৃষ্ণনগরে
এর ফলে সুস্থ ও স্বাভাবিকভাবেই মিটল কৃষ্ণনগরের এবারের জগদ্ধাত্রী পুজোর বিসর্জন পর্ব। ঐতিহ্যের পাশাপাশি পরিবেশ সম্পর্কেও প্রশাসন ছিল সচেতন। নদীতে প্রতিমা নিরঞ্জনের পর মুহুর্তেই বিসর্জনের সমস্ত প্রক্রিয়ার পর তুলে ফেলা হয় প্রতিমার অবশিষ্টাংশ। নদীর জল দূষণের হাত থেকে রক্ষা করতেই উন্নত মানের হাইড্রলিকের সাহায্যে এই প্রক্রিয়ার ব্যবস্থা করা হয় কৃষ্ণনগর পৌরসভার পক্ষ থেকে। যার ফলে ঐতিহ্যের পাশাপাশি পরিবেশের প্রতি যত্নশীল হওয়ার এক অভিনব নিদর্শন দেখলেন গোটা নদিয়াবাসী।
Mainak Debnath