শান্তিপুর পূর্ণিমা মিলনীর উদ্যোগে আয়োজিত এই ইলিশ উৎসবে ৩৮ জন শামিল হয়েছিলেন। আমন্ত্রিত হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আরও ৬ জন। বর্ষাকালে ইলিশ খাওয়ার এমন সুযোগ ছাড়তে চাননি কেউ। তাই ইলিশ মাছের হরেক রকম পদ দিয়ে উদরপূর্তির পাশাপাশি মনের তৃপ্তিও মিটেছে যথেষ্ট।
আরও পড়ুন: শুভেন্দুর জেলায় ফের সভাধিপতি তৃণমূলের উত্তম
advertisement
ইলিশের মাথা দিয়ে কচুশাক, ইলিশ ভাপা, ইলিশ পাতুরির মতো জিভে জল আনা সব পদ প্রস্তুত করা হয়েছিল এই ইলিশ উৎসবের জন্য। এছাড়াও ভাত, ডাল, তরকারি, চাটনি, দই-মিষ্টি তো ছিলই। কানলা ঘাটের একটি সরকারি লঞ্চ ভাড়া করে তার মধ্যেই আয়োজন করা হয়েছিল এই ইলিশ উৎসবের। সেখানে খাওয়া-দাওয়ার পাশাপাশি নাচ, গান, আবৃত্তি সহ দিনভর নানান মনোরঞ্জনের আয়োজনও ছিল। নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে রান্না বাইরে থেকে করে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। ভাগীরথীর স্রোত বেয়ে নবদ্বীপ পর্যন্ত যেতে গিয়ে একটি বনাঞ্চলে নেমে টিফিন করেন সকলে। তারপর খাওয়া দাওয়া, আড্ডা সেরে আবার প্রত্যাবর্তন।
এই ইলিশ উৎসব প্রসঙ্গে ওই স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক রূপায়ণ চৌধুরী জানান, কলকাতা থেকে গানের শিল্পীরা এই ইলিশ উৎসবে হাজির ছিলেন। পাশাপাশি সংগঠনের সদস্যরাও ছিলেন। আগামী বছর থেকে সর্বসাধারণের জন্য ইলিশ উৎসবের দরজা খুলে দেওয়া হবে বলেও তিনি জানান।
মৈনাক দেবনাথ





