সূত্রের খবর, গত বুধবার মায়ের বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের প্রতিবাদ করে দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রী লিপিকা মণ্ডল (১৮)। এরপরই তার অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়। অভিযোগ, ওই স্কুলছাত্রী মায়ের সঙ্গে বাইরে বের হলে অতর্কিতে তাকে আক্রমণ করে মায়ের প্রেমিক সুজিত বিশ্বাস। ধারাল অস্ত্র দিয়ে এলোপাথাড়ি আঘাত করে লিপিকাকে। অস্ত্রের আঘাতে ওই কিশোরীর একটি হাত কাটা পড়ে। স্থানীয়রা তড়িঘড়ি তাকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত বলে ঘোষণা করেন। এই ঘটনার পর থেকেই অভিযুক্ত সুজিত বিশ্বাস পলাতক ছিল। শনিবার সেই সুজিতেরই ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হল। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মঘাতী হয়েছেন ওই যুবক।
advertisement
আরও পড়ুন: পুরসভার সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ দুর্গাপুরের শিল্পপতিরা, টোল ট্যাক্স আতঙ্কে গাড়ি না ঢোকার অভিযোগ
জানা গিয়েছে, মৃত সুজিত প্রথমে বিষ পান করেন। তারপর মৃত্যু নিশ্চিত করতে গলায় দড়ি দিয়ে ঝুলে পড়েন। গাংনাপুর থানার গোপিনগর এলাকার এক বাঁশবাগান থেকে ওই অভিযুক্ত যুবকের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধার করে রানাঘাট মহকুমা হাসপাতালে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়।
সুজিতের অস্বাভাবিক মৃত্যুর পর তাঁর 'প্রেমিকা' তথা মৃত লিপিকার মাকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে পুলিশ। কেন ওই যুবক প্রেমিকার মেয়েকে খুন করলেন আর কেনই বা নিজে আত্মঘাতী হলেন তা তদন্ত করে দেখছে পুলিশ।
মৈনাক দেবনাথ