বাংলাদেশে পেট্রাপোল-গেদে ট্রেন চলাচল চালু থাকলেও স্থলবন্দর তৈরি করার ব্যাপারে চিন্তা ভাবনা চলছিল দুই সরকারের পক্ষ থেকেই। তবে ভারত থেকে, সমস্ত ডিজাইন এবং কেন্দ্রীয় সরকারের আর্থিক অনুমোদন পাওয়ার পর এবার বাকি শুধু কাজ শুরুর । সেতু বন্ধন হিসেবে, মাঝে একটি রাস্তা বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী রানাঘাট তপশিলি কেন্দ্রের সংসদ জগন্নাথ সরকার তার নিজস্ব সংসদ কোটার তহবিল থেকে , আজ অনুমোদন করেন।
advertisement
আরও পড়ুন - '৬০ দিন ছাড়ুন, রাস্তায় আমাদের মতো তাঁবু খাটিয়ে ৬ দিন থাকুন!' চ্যালেঞ্জ অভিষেকের
আরও পড়ুন - শুভেন্দুর সঙ্গে হোটেলে গোপন বৈঠক চার তৃণমূল নেতার? পোস্টারে ছয়লাপ তমলুক
এই রাস্তা হয়ে যাওয়ার পরেই, বন্দর নির্মাণের যাবতীয় কাজকর্ম শুরু করবে কেন্দ্রীয় সরকার। এদিন সেখানে বিডিআর , বিএসএফ, দুই দেশের প্রশাসনিক কর্মকর্তা, কৃষ্ণগঞ্জ ব্লকের বিডিও, সংসদ জগন্নাথ সরকার এবং বাংলাদেশের বিভিন্ন অধিকারীগণ মিলিত হন, আলোচনার মাধ্যমে এই কাজ সুসম্পন্ন করার জন্য।
এযাবৎকাল বনগাঁ পেট্রোপোলে সড়কপথে ভারত বাংলাদেশ যোগাযোগে অত্যন্ত চাপ বাড়ছিল। নদিয়ার সীমান্তবর্তী পাঁচটি লোকসভায় একমাত্র ট্রেন পথে যোগাযোগ গেদেতেই ছিল। ফলে পণ্য পরিবহনের জন্য হয় ট্রেন না হলে বনগাঁ বর্ডারের উপর নির্ভর করতে হতো দু'দেশের ব্যবসায়ীদের। তবে অল্প দিনের মধ্যেই সেই মুশকিল আসান হতে চলেছে দু'দেশের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায়।
সাংসদ জগন্নাথ সরকার বলেন অল্পদিনের মধ্যেই কেন্দ্রীয় সরকার বৃহৎ পরিমাণ অর্থ বরাদ্দ করতে চলেছেন স্থলব বন্দর নির্মাণে। কিন্তু সেই অপেক্ষায় না থেকে দ্রুত কাজ সম্পন্নের জন্য প্রয়োজনীয় চৌদ্দ ফুট চওড়া ৮৫০মিটার আপ এবং ২৭৫ মিটার ডাউন দুটি রাস্তা নির্মাণের অর্থ মঞ্জুর করেছেন নিজের তহবিল থেকে। তবে তিনি আশাবাদী, এই কাজ চলার মধ্যেই কেন্দ্রীয় ব্যয় বরাদ্দ মঞ্জুর হয়ে যাবে এবং ভারতের মধ্যে একমাত্র নদিয়ার সঙ্গে যেমন বাংলাদেশের রেলপথ যোগাযোগে গৌরবান্বিত হয়েছে নদিয়াবাসী তেমনি, সড়ক পথেও হতে চলেছেন।
Mainak Debnath