বাবা রাম প্রামাণিক পেশায় তাঁত শিল্পী ছিলেন, মা বাড়িতে সুতো পাকিয়ে সংসার চালাতেন। সংসারে ছিল অনেক অভাবে। কিন্তু তাও ইংরেজি বিভাগে স্নাতক করেছে একমাত্র সন্তানকে।
আরও পড়ুন: কৌশিকী অমাবস্যায় তারাপীঠ মন্দিরে ভিড় সামাল দিতে অভিনব উদ্যোগ প্রশাসনের! তৎপর মন্দির কর্তৃপক্ষও
কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতি অনুযায়ী চাকরির কোনও সম্ভাবনা এক প্রকার নেই জেনেই, গৃহ শিক্ষকতা শুরু করেন জগন্নাথ বাবু। তবে ছোটবেলা থেকেই শিল্পবোধ ছিল তাঁর মধ্যে। শিল্পের প্রতি অসম্ভব ঝোঁক তার ছোটবেলা থেকেই। মায়ের কথায় , মাখা আটা দিয়ে হোক বা বাড়ির উঠোনের কাদা, ছোটবেলা থেকেই অসম্ভব সুন্দর বিষয়বস্তু উপস্থাপিত করতেন তিনি। মাঝেমধ্যেই বানাতেন পুতুল, মূর্তি।
advertisement
আরও পড়ুন: পরিবেশ রক্ষার অভিনব বার্তা! গাছে রাখি বাঁধল ছাত্রীরা
জগন্নাথ বাবু জানান সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্টের মাধ্যমে তাঁর কাজের প্রচার তিনি শুরু করেন। আজ থেকে পাঁচ বছর আগে প্রথম একটি মূর্তির অর্ডার পান তিনি। এখান থেকেই পথ চলা শুরু, তারপর ভার্চুয়াল জগতে তাঁর পরিচিতি বৃদ্ধি পেতে শুরু করে। তাঁর বানানো মূলত স্বরস্বতী, অন্নপূর্ণা, জগদ্ধাত্রী এবং দুর্গা প্রতিমার মূর্তি প্রতিবছরেই রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত-সহ রাজ্যের বাইরেও পাড়ি দেয়।
এবারেও তাঁর তৈরি এই দুর্গা প্রতিমা যাচ্ছে কলকাতার ঠাকুরপুকুরে, যা আজ থেকে ছ মাস আগে অর্ডার পেয়েছিলেন তিনি। তবে লাগাতার সময় দিতে না পারলেও টিউশন পড়ানোর ফাঁকে ফাঁকে প্রায় প্রতিদিন অল্প-বিস্তর সময় দিয়ে ছ মাসে সম্পূর্ণ হয়েছে প্রতিমা গড়ার কাজ। অর্ধ সমাপ্ত অবস্থায় বাকি রয়েছে আরও তিনটি প্রতিমা তৈরির কাজ, যার মধ্যে দুটি কলকাতায় গেলেও একটি যাবে বেঙ্গালুরুতে।
তবে , স্ত্রী আসার পরে জগন্নাথ বাবু সিদ্ধান্ত নিয়েছেন আগামী দিনে বাড়ির ছোট্ট বারান্দায় ওয়ার্কশপ গড়বেন। শিল্পের প্রতি আগ্রহী আরও অনেক ছেলেমেয়েদের নিয়ে তিনি গড়ে তুলতে চান তাঁর ওয়ার্কশপ।
Mainak Debnath