তবে দুই দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর যৌথ উদ্যোগে বেশিরভাগ সময়ই এই সমস্ত পাচারকারী চোরাচালানকারী চক্ররা ধরা পড়ে যায়। ঠিক তেমনই ৮২ নম্বর ব্যাটালিয়নের সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর দ্বারা প্রায় নটি বিরল প্রজাতির পাখি উদ্ধার হল চোরাচালান কারবারিদের হাত থেকে। এই পাখিগুলির আনুমানিক মূল্য প্রায় লক্ষাধিক টাকা বলে জানা যায়। চোরাচালান কারবারীরা তিনটি কাঠের বাক্স করে বাংলাদেশ থেকে ভারতে নিয়ে আসছিল সেই পাখিগুলি।
advertisement
আরও পড়ুনঃ প্রায় দেড় বছর পর বাংলাদেশ থেকে দেশে ফিরলেন তিন অনুপ্রবেশকারী
সীমান্ত রক্ষী বাহিনীদের সেই সমস্ত চোরাচালান কারবারীরা নজরে আসলে পরে তাদেরকে ধাওয়া করে। ধাওয়া করলে পরে চোরাচালান কারবারিরা সেই বাক্স গুলি ফেলে সেই স্থান থেকে পালিয়ে যায়। অন্ধকার ও ঝোপ যার থাকার ফলে চোরাচালান কারবারিরা পালাতে সক্ষম হয়। তবে নিয়ে যেতে পারেনি তারা বহু মূল্যের সেই পাখি গুলির বাক্স। সীমান্ত রক্ষী বাহিনীরা সেই পাখি সমেত বাক্স উদ্ধার করে নিয়ে আসে ক্যাম্পে।
আরও পড়ুনঃ বিসর্জনের সঙ্গে সঙ্গেই হাইড্রার সাহায্যে তুলে ফেলা হল প্রতিমার কাঠামো
কাঠের বাক্স গুলি খুললে পরে দেখা যায় তার মধ্যে রয়েছে ৪ টি বিরল প্রজাতির কালো ককাটুস, ৪ টি টুকাইন এবং একটি মার্বো সর্ট্ক পাখি। যার আনুমানিক মূল্য কয়েক লক্ষ টাকা বলে জানতে পারা যায়। উদ্ধার হওয়া বিরল প্রজাতির পাখিগুলি কৃষ্ণনগর বনদপ্তর আধিকারিকদের কাছে তুলে দেওয়া হয়েছে বলে সূত্রের খবর। ৫৮ নম্বর ব্যাটেলিয়ানের কমান্ডিং অফিসার বলেন, আমাদের জওয়ানরা সীমান্তে বিরল প্রজাতির পাখি পাচার বন্ধ করতে কঠোর ব্যবস্থা নিচ্ছে। তিনি স্পষ্ট ভাষায় বলেন আমরা কোন অবস্থাতেই আমাদের এলাকা থেকে চোরাচালান হতে দেব না।
Mainak Debnath