ভূগর্ভস্থের জল ধীরে ধীরে শেষ হওয়ার ফলে নদীর জলকেই বিকল্প হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে ধীরে ধীরে। নদীর জলকে বিশুদ্ধকরণ করে সেই জল শহরতলীতে ব্যবহারযোগ্য গড়ে তোলা হচ্ছে। তবে নদীয়া জেলার চূর্ণী এবং জলঙ্গী নদীর জল দূষণ হচ্ছে মাত্রাতিরিক্ত হারে। যদিও তার একাধিক কারণ উঠে এসেছে ইতিমধ্যেই। যেমন বাংলাদেশের চিনির কলের বর্জ্য পদার্থ, এছাড়াও বিভিন্ন কলকারখানার আবর্জনা নদীর জলে ফেলার ফলে সেই জল ধীরে ধীরে বাংলাদেশ হয়ে চলে আসে চূর্ণী নদী এবং জলঙ্গি নদীতে।
advertisement
আরও পড়ুন - বড় করেছিলেন মাথার চুল! ক্যান্সার আক্রান্তদের সেই চুল দান করলেন যুবক!
এছাড়াও এবছর বৃষ্টিপাতের পরিমাণ কম হওয়ার কারণে চাষিরা বাধ্য হয়ে পাট পচাচ্ছেন নদীর জলে। সেই কারণেও ব্যাপক হারে জল দূষণ হচ্ছে। এই জল দূষণের কারণে হাজার হাজার মাছ মরে ভেসে উঠেছিল নদীর জলে। মাছ মরে ভেসে ওঠার ঘটনা জেলার বিভিন্ন প্রান্তে প্রায়ই দেখা যাচ্ছে।
তবে শেষ হয়নি এখানেও, নদীর জল মাত্রাতিরিক্ত হারে দূষিত হওয়ার কারণে সেই জল ব্যবহার করে অনেকেই অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার খবর উঠে এসেছে ইতিমধ্যেই। সেই কারণে প্রশাসন থেকে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন সকলেই নড়েচড়ে বসেছে।
একাধিক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন লাগাতার দিনের পর দিন সচেতনামূলক বার্তা দিয়ে যাচ্ছেন মানুষের কাছে। ঠিক তেমনই রানাঘাট স্বাধীনতা দিবস উদযাপন কমিটি বৃহস্পতিবার সকালে নৌকায় করে চূর্ণী নদীতে চালায় প্রতিবাদ বার্তা। মানুষকে নদীর সম্পর্কে সচেতন করাই এদিনের প্রতিবাদের ছিল মূল উদ্দেশ্য।
Mainak Debnath