তাদের কথায় বাড়িতে অতিথি এলে অথবা দূরে কোথাও অতিথি বাড়ি গেলে আমসত্ত্ব নিয়ে গেলে খুশি হন তারা। কাঁচা আমের আমশি, পরবর্তীতে আমচুর আম মাখা আচার অবশেষে আমসত্ত্ব। নদিয়ার শান্তিপুর বাবলা পঞ্চায়েত, বাগআঁচড়া সহ বেশ কিছু এলাকায় আমবাগান অধ্যুষিত হওয়ার কারণে এ দৃশ্য ঘরে ঘরে। তবে তাদের, আমসত্ত্ব সংরক্ষণের পদ্ধতিটাও ঘরোয়া। প্রতিদিন অল্প অল্প করে আম গুলে স্তরিভূত করে মোটা পুরু হয়ে গেলে, দিন দুয়েক চড়া রোদে শুকানো। তারপর সরষের তেল মাখিয়ে কাপড়ে মুড়ে রেখে দিলে থাকে বহুদিন। তবে রোদে দেওয়ার সময় হনুমান বা অন্য পশু পাখির উপদ্রব সামলাতে হয় প্রখর রোদের মাঝেই।
advertisement
আরও পড়ুন: গ্রামে মাত্র তিনটি পরিবারের বাস! রয়েছে জাগ্রত গণেশ মন্দির! তবুও কেন থাকে না মানুষ?
তবে তারা এবছর খুশি, অন্যান্য বছর মাঝেমধ্যে বৃষ্টি হওয়ার কারণে, ছত্রাক সংক্রামন হয়ে কোনও কোনও ক্ষেত্রে নষ্ট হয় আমসত্ত্ব, রং হয়ে যায় কালো, এবারে তা টুকটুকে ঘনলাল। তবে বাজারে যে আমসত্ত্ব পাওয়া যায় তা সোনালী রঙের সুন্দর দেখতে হলেও মূলত কেমিক্যাল এবং আমের ফ্লেভার দিয়ে পেঁপে বা কুমড়োও ব্যবহার করা হয়। তাতে আমের স্বাদ কৃত্রিম এবং ক্ষতিকারকও । কিন্তু গ্রাম বাংলায় তৈরি এই আমসত্ত্ব, দীর্ঘ ৭-৮ মাস এমনকি এক বছর বাদেও স্বাদ এবং গুণগতমান থাকে অক্ষুন্ন।
আরও পড়ুন:
তবে এখনও পর্যন্ত কুটির শিল্প হিসেবে ঘরে ঘরে এই পেশায় মহিলারা নিযুক্ত হয়ে ওঠেননি, আগামীতে হয়তো ডালের বড়ির মতন আমসত্বেও গৃহিণীরা লক্ষ্মী লাভ করতে পারেন। তবে এক্ষেত্রে দরকার সরকারি সহযোগিতা, এবং তত্ত্বাবধান। বিশেষ করে মহিলা গোষ্ঠীর মাধ্যমে, হয়ে উঠতে পারে মহিলাদের উপার্জনের বিকল্প পথও।
Mainak Debnath