প্রায় ১৫০০ কিলোমিটারের এই পথে তাঁদের সঙ্গী থাকবে কেবল সাইকেল এবং ভারতের ম্যাপ। তবে এই বারই প্রথম নয়, এর আগেও তাঁরা সাইকেলে করে পাড়ি দিয়েছিলেন জগন্নাথ ধাম পুরীতে। সাইকেলে করে পুরীর যাত্রা সফলভাবে সম্পন্ন করার পরেই তারা সিদ্ধান্ত নেন শ্রীকৃষ্ণ ধাম বৃন্দাবনে যাওয়ার। তারপরেই শুরু করে দেয় তাঁরা তাদের গন্তব্যে যাওয়ার প্রক্রিয়া। বিভিন্ন প্রশাসনিক ভবন থেকে অনুমতি পত্র নেওয়ার পর সাইকেলের মধ্যেই পিছনে ক্যারিয়ারে জরুরি জিনিসপত্র ব্যাগে করে বেঁধে নিয়ে তারা রওনা দিল বৃন্দাবনের উদ্দেশ্যে।
advertisement
শান্তিপুর থেকে বৃন্দাবন যেতে তাঁদের সময় লাগবে প্রায় ১৫ দিন। মাঝে বিভিন্ন মঠ মন্দির এবং সুরক্ষিত জায়গায় তারা রাত্রিবাস করবে এবং দিনের বেলা প্রায় ১০০ কিলোমিটার পথ সাইকেলে পাড়ি দেবে বলেই জানালেন তারা। গন্তব্যে যাওয়ার আগে তারা আশীর্বাদ নিতে এলেন ১৩ তম অদ্বৈত বংশধর মদন গোপাল বাড়ি। মদনমোহন হলেন অদ্বৈত প্রভুর সেবিত বিগ্রহ। তাঁরা এই মদনমোহনের থেকেই নিয়েছিলেন দীক্ষা। সেই কারণেই মদনমোহনের থেকে আশীর্বাদ নিয়ে তারা শুরু করেন তাদের গন্তব্য।
আরও পড়ুন: দিঘা মোহনায় বিধ্বংসী অগ্নিকাণ্ড, বড় বিপদের হাত থেকে বাঁচল ফিস মার্কেট
আরও পড়ুন: বিতর্কিত পঞ্চায়েতেও সবুজ-ঝড়! বগটুই, আনিস-মৃত্য়ু ছাপ ফেলল না ভোটে
তাঁরা জানান, এই যাত্রায় তাঁরা যুব সমাজকে বার্তা দিতে চান যে, ইচ্ছা থাকলে উপায় হয়। যদি মনে অদম্য সাহস থাকে তা হলে কোনও কিছুই বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে না। এবং সেই কারণেই চল্লিশোর্ধ্ব তিন ব্যক্তি সাইকেলে করে পাড়ি দিলেন কৃষ্ণধাম বৃন্দাবনে।
মৈনাক দেবনাথ