আরও পড়ুন Murshidabad News: জমিতে জল দেওয়া নিয়ে বিবাদ! বাড়িতে ঢুকে বোমাবাজি, জখম এক পরিবারের ৫জন
জানা গিয়েছে, গাইডেন্স অ্যাকাডেমির ওই দুই ছাত্র যাবতীয় সরঞ্জাম সংগ্রহ করে মাত্র চারদিনের মধ্যেই ড্রোন তৈরি করতে সক্ষম হয়। যদিও আপাতত ক্যামেরা বসানো সম্ভব না হলেও, আগামিদিনে আরও উন্নত করে সেই ড্রোন তৈরি করার পরিকল্পনা রয়েছে ওই দুই ছাত্রের। পশ্চিমবঙ্গ সরকারের অধীনস্থ এই স্কুলের পঞ্চম থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত ছাত্রের সংখ্যা প্রায় ৫০০। স্কুলের ছাত্রদের কথায়, স্কুলের স্যার ও কম্পিউটার প্রশিক্ষকের উৎসাহেই এই ড্রোন তৈরি করা হয়েছে। এক সপ্তাহের পরিকল্পনায়, চারদিনে এই ড্রোন তৈরি করা সম্ভব হয়েছে। প্রথম থেকেই দুই ছাত্রের প্রবল ইচ্ছা ছিল ড্রোন তৈরি করার, আর সেই ইচ্ছাই সফলতা এনে দিয়েছে তাদের।
advertisement
স্কুল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, 'আমাদের স্কুলের বিজ্ঞান বিভাগের একটা প্রদশর্নী করেছিল৷ সেখানে দুইজন ছাত্র ড্রোন তৈরি করে আকাশে ওড়ায়। পাশাপাশি ৫০টি মডেল তৈরি করে, যা দেখতে ভিড় জমান বহু সাধারণ মানুষজন । আমাদের বিদ্যালয়ের দুই ছাত্রের এই কাজে আমরা খুব গর্বিত। ইতিহাসের পাতা ওল্টালে দেখা যায় যুদ্ধ ক্ষেত্রেই প্রথম ড্রোনের সূচনা। ১৯৫৯ সালে আমেরিকান বিমান বাহিনী প্রথম মনুষ্যবিহীন বিমান তৈরিতে হাত দেয়। ১৯৬৪ সালের ভিয়েতনাম যুদ্ধে টনকিন উপসাগরে প্রথম ব্যবহার হয় এই পাইলটবিহীন যুদ্ধবিমান। সেই থেকেই ড্রোনের সুচনা হয়। বর্তমানে ড্রোনে ক্যামেরা ব্যবহার করে তা অন্যান্য কাজেও ব্যবহার করা হচ্ছে।
কৌশিক অধিকারী