পরিবারের সদস্যরা জানান, ১৬৬৫ সালে প্রথম পুজো হয়। প্রথম বীরভূম জেলার ভদ্রপুর গ্রামে মহারাজা নন্দ কুমার পিতা পদ্মনাভ রায়ের নির্দেশে এই দুর্গাপুজো প্রথম চালু হয়। পরে মুর্শিদাবাদে মহারাজা নন্দকুমার চাকরি যোগদান করেন মীর জাফর আমলে। ফলে বহরমপুর কুঞ্জঘাটা প্যালেস তৈরি করা হয় এবং বীরভূমের ভদ্রপুর থেকে কাঠামো নিয়ে এসে বহরমপুরে কুঞ্জঘাটা রাজবাড়িতে প্রতিষ্ঠিত করা হয়। তৎকালীন সেই কাঠামোতে আজও দেবী দশভুজা তৈরি হয়ে আসছে।
advertisement
আরও পড়ুন:
পুজো প্রতিষ্ঠা করেন মহারাজ নন্দকুমার বাবা পদ্মনাভ রায়। প্রতিমাতে আজও একই কাঠামোতে ৩৫০বছর ধরে পুজো হয়, যদিও দেবীর সন্তান শুধু নয় জয়া ও বিজয়া এখানে পুজো হয়। আষাঢ় মাসে রথের দিন কাঠামোতে মাটি দিয়ে পুজো দিয়ে সূচনা করা হয় পুজোর। যদিও কালের নিয়মে রথযাত্রা বন্ধ হলেও আজও রথের দিন সেই উৎসব ও পুজো অর্চনা করা হয়। মহালয়া দিন থেকেই পুজোর সুচনা করা হয়, চারদিন মহাধুম ধাম করে পুজো পরিচালনা করা হয়। ষষ্ঠী ও সপ্তমী দিনে বন্দুক ফায়ার করে ঘট ভরতে যাওয়া হয়। যদিও রাজ ও নেই রাজাও নেই কিন্তু ঐতিহ্য পরম্পরা মধ্যে দিয়ে দেবীর পুজো হয়ে আসছে এই কুঞ্জঘাটা রাজবাড়িতে।
কৌশিক অধিকারী