গোড়া থেকেই এই প্রাথমিক স্কুলে শ্রেণি কক্ষের অভাব আছে বলে জানা গিয়েছে। নামে বিদ্যালয় হলেও স্কুলে নেই পর্যাপ্ত ক্লাসরুম। দুটি ঘরে ক্লাস হয় সব পড়ুয়ার। একটি ঘরে প্রথম শ্রেণি থেকে তৃতীয় শ্রেনি পর্যন্ত ক্লাস হয়। অন্যঘরে চতুর্থ শ্রেণির পঠনপাঠন চলে। এইভাবে ক্লাস হওয়ায় পড়াশোনাও ঠিক করে হয় না খুদে খুদে ছেলেমেয়েদের। শুধু ছাত্রছাত্রীরা নয়, শ্রেণিকক্ষের অভাবে সমস্যায় পড়েছেন শিক্ষকরাও।
advertisement
আরও পড়ুন: গ্রামবাসীর সঙ্গে 'নাকের মিল' খুঁজে পেলেন 'দিদির দূত' নয়না!
এদিকে জানা গিয়েছে, মোহনবাগান জেএস এফপি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের যে ঘরটায় বর্তমানে চতুর্থ শ্রেণির ক্লাস হয়, সেখানেই সকালে চলে অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের ক্লাস! অন্যদিকে স্কুলে একটি মাত্র অফিস ঘর আছে। সেখানেই থাকে মিড ডে মিলের চাল-ডাল। এর ফলে বর্ষাকালে ব্যাপক সমস্যায় পড়তে হয় সকলকে। অভিযোগ, স্কুলের শ্রেণিকক্ষের এই অভাবের বিষয়টি বারবার ইন্সপেক্টরকে জানিয়েও কোনও লাভ হয়নি। এই স্কুলে বর্তমানে ৮২ জন পড়ুয়া আছে। তবে ঠিকঠাক বসার ব্যবস্থা নেই বলে অনেকেই প্রতিদিন স্কুলে আসে না বলে জানা গিয়েছে।
মুর্শিদাবাদের বিভিন্ন স্কুলের মিড ডে মিলের গুণগত মান পরিক্ষা করছেন মহকুমাশাসক থেকে শুরু করে বিডিওরা। আর সেই মিড ডে মিলের সামগ্রী পরিদর্শন করতে গিয়েই কান্দির মহকুমাশাসক নবীন কুমার চন্দ্রা দেখলেন এই স্কুলের বেহাল দশা। স্বচক্ষে এই পরিস্থিতি দেখে দ্রুত সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দিয়েছেন মহকুমাশাসক।
কৌশিক অধিকারী