সাগরদিঘির বিধানসভা উপ নির্বাচনে ৯জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করলেও ত্রিমুখী লড়াইয়ে জমে উঠেছিল বিধানসভার উপ নির্বাচন পর্ব। কংগ্রেস প্রার্থী বাইরন বিশ্বাস, বিজেপির প্রার্থী ছিলেন দিলীপ সাহা ও তৃণমূলের প্রার্থী দেবাশীষ বন্দ্যোপাধ্যায়। নির্বাচনের দিনে অবাধ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন করা একমাত্র লক্ষ্য ছিল কমিশনের। আর সেই মতো কেন্দ্রীয় বাহিনীর তৎপরতায় সুষ্ঠ ভাবেই সম্পন্ন হয় বোমা ও গুলি ছাড়াই নির্বিঘ্নে শেষ হয় নির্বাচন ।
advertisement
আরও পড়ুন: 'হোটেল, টিকিট বুক করা আছে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়', তুমুল কটাক্ষ দিলীপ ঘোষের
তবে বৃহস্পতিবার সাগরদিঘিরর কামদাকিঙ্কর স্মৃতি মহা বিদ্যালয়ে গণনা কেন্দ্রে সকাল থেকেই গণনা শুরু হয়। মোট ১৬টি টেবিলে ১৬টি রাউন্ডের গননা হয়। শুরু থেকেই একটু একটু করে বাম কংগ্রেস জোট প্রার্থী বাইরন বিশ্বাস এগিয়ে যেতে থাকেন। শেষমেশ জয়ী হলেন তিনি।
আরও পড়ুন: 'আমি মীরজাফর নই', সাগরদিঘির যুদ্ধ জিতেই ফুঁসলেন অধীর! নিশানায় মমতা
বাইরন বিশ্বাসের ভোটে এগিয়ে যেতেই একদা অধীর গড় হিসেবে পরিচিত সেই মুর্শিদাবাদে অকাল হোলিতে মেতে ওঠেন বাম ও কংগ্রেস কর্মীরা। ধুলিয়ানের একদা শিল্পপতি বাইরন বিশ্বাসের বাড়ির সামনেও আবীর ও বাজি ফাটাতে থাকেন স্থানীয় বাসিন্দারা। পাশাপাশি, বহরমপুরে মুর্শিদাবাদ জেলা কংগ্রেসের দলীয় কার্যালয়ের সামনে বাজি ফাটাতে থাকেন কংগ্রেস কর্মীরা।
ফল ঘোষণার আগেই বাইরন বিশ্বাস জানিয়েছিলেন, জয় শুধু সময়ের অপেক্ষা। আমি জয়ী হব, মানুষ আমাদের সঙ্গে আছে। পরিবর্তন হবে সাগরদীঘি থেকেই। ২০১১ সালে জেলার একমাত্র তৃণমূল বিধায়ক হিসেবে এই আসনে জয়ী হয়েছিলেন সুব্রত সাহা।
একুশের বিধানসভা নির্বাচনে মুর্শিদাবাদের এই ৬০ নম্বর বিধানসভা আসনে ৫০.৯৫ শতাংশ ভোট পেয়ে বিধায়ক হয়েছিলেন তৃণমূলের সদ্য প্রয়াত নেতা সুব্রত সাহা। ওই একইভোটে প্রয়াত সুব্রত সাহার প্রাপ্ত ভোটের প্রায় অর্ধেক ভোট পেয়ে দ্বিতীয় স্থান পেয়েছিলেন বিজেপির মাফুজা খাতুন। তাঁর প্রাপ্ত ভোট ছিল ২৪.০৮ শতাংশ। ১৯.৪৫ শতাংশ ভোট পেয়ে তালিকায় তিন নম্বরে ছিলেন কংগ্রেসের হাসানুজ্জামান(বাপ্পা)।
২০১১ সালের জনগণনা অনুযায়ী এই ব্লকের জনসংখ্যা ছিল ৩ লক্ষ ১০ হাজার ৪৬১ জন। তার মধ্যে সংখ্যালঘু সম্প্রদায় ছিলেন ২ লক্ষ ৭৯৬ জন। মুসলিম সম্প্রদায় ছিলেন ৬৪.৬৮ শতাংশ। হিন্দু সম্প্রদায় ৩১.৫৬ শতাংশ। অন্যান্য সম্প্রদায় ৩.৭৬ শতাংশ। সরকারি নিয়মে পরবর্তী জনগণনা না হওয়া পর্যন্ত পরবর্তী দশ-এগারো বছরে জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার ধরে নেওয়া হয় ৭.৫% শতাংশ। সেই হিসেব ধরলে সাগরদিঘির বর্তমান জনসংখ্যা আনুমানিক ৩ লক্ষ ৩৩ হাজার ৭৪৬ জন। সংখ্যালঘু বাসিন্দা আনুমানিক ২ লক্ষ ১৫ হাজার ৮৫৬ জন। মুসলিম সম্প্রদায়ের সংখ্যা হবে সেই হিসেবে ১ লক্ষ ৩৯ হাজার ৬১৬ জন।তবে ১৬রাউন্ড পর্যন্ত অপেক্ষা করতেই হবে কে জয়ী হবে এবং তার কত ব্যবধানে জয়ী হবে তার দিকে।
কৌশিক অধিকারী