সাগরদিঘী থানার পুলিশ ও বনকর্মীদের হাতে উদ্ধার হওয়া তক্ষককে তুলে দেওয়া হয়। স্থানীয় যুবক ইউসুফ সেখ জানান, "আম গাছে আম পাড়তে উঠে দেখি একটি বিরল প্রজাতির তক্ষক আছে। আমরা তড়িঘড়ি তক্ষকটিকে উদ্ধার করি। অসাধু ব্যক্তিদের হাত থেকে তক্ষককে বাঁচাতে আমরা বন দফতরের হাতে তুলে দিয়েছি।"যুবকদের এই কর্মকাণ্ডে খুশি পুলিশ প্রশাসন ও বন দফতর।
advertisement
আরও পড়ুন- বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলামের ১২৩তম জন্ম বার্ষিকী পালন মুর্শিদাবাদ জুড়ে
জানা গিয়েছে, তক্ষক বর্তমানে বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে। বর্তমানে কিছু অসাধু ব্যক্তি এই তক্ষক উদ্ধার করে পাচার করে দিয়ে থাকে। বিলুপ্তপ্রায় প্রজাতির তক্ষকের দেহাংশ থেকে মূল্যবান ওষুধ তৈরি হওয়ায়, আন্তর্জাতিক বাজারে এর দাম প্রচুর। তক্ষক গিরগিটি প্রজাতির নির্বিষ নিরীহ বন্যপ্রাণী। সাধারণত পুরনো বাড়ির ইঁটের দেওয়াল, ফাঁক-ফোকড় ও বয়স্ক গাছে এরা বাস করে। কীটপতঙ্গ, টিকটিকি, ছোট পাখি ও ছোট সাপের বাচ্চা এদের খাদ্য।
আরও পড়ুন- ঔষধি ফসল, মুনাফাও দারুণ! 'এই' চাষ করে নজর কাড়ছেন নবগ্রামের চাষিরা!
এই তক্ষক বর্তমানে বিপন্ন বন্যপ্রাণী। উদ্ধার হওয়া তক্ষক বিরল প্রজাতির। ওষুধ তৈরি সহ বিভিন্ন কারণে চীনে তক্ষক কেনাবেচা হয়। চীনে এই তক্ষকের প্রচুর দাম পাওয়া যায়। তবে শুক্রবার আম বাগান থেকে তক্ষক উদ্ধারের ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে গোটা এলাকা জুড়ে।
Koushik Adhikary