ডাক্তারি পরিভাষায় এই ধরনের শিশুদের বলা হয় এক্সট্রিমলি লো বার্থ প্রিম্যাচিওর্ড বেবি। ওজন কম হওয়ার কারণেই বেশ কিছু শারীরিক অসুস্থতার লক্ষণ দেখা দেয়। পরে কান্দি মহকুমা হাসপাতালে শিশু এবং নবজাতক শিশুর বিশেষ পরিষেবা কেন্দ্র (SNCU) বিভাগের চিকিৎসক এবং স্বাস্থ্যকর্মীরা অক্লান্ত পরিশ্রম করে ওই নবজাতককে ৯১ দিনের মাথায় ১৫০০ গ্রাম ওজনের করে মায়ের হাতে তুলে দেয়। কান্দি মহকুমা হাসপাতালে আনুষ্ঠানিক ভাবে শিশু রোগ বিশেষজ্ঞ ডাঃ সৌমিক দাস ও কান্দি বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক তথা রোগীকল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান অপূর্ব সরকার এবং কান্দি পুরসভার পুরপিতা জয়দেব ঘটকের উপস্থিতিতে ওই শিশুকে তার মায়ের হাতে তুলে দেওয়া হয়।
advertisement
আরও পড়ুন : চা রসিকদের জন্য সুখবর, চৈত্রের বৃষ্টিতে সুগন্ধের মৌতাত জমছে ডুয়ার্সের বিখ্যাত তিন কুঁড়ি পাতায়
অকাল প্রসব বা নির্দিষ্ট সময়ের আগে ডেলিভারি হয়ে যাওয়া বর্তমান সময়ের একটি সাধারণ সমস্যা। কান্দি মহকুমা হাসপাতালের শিশু বিভাগের চিকিৎসক ডাঃ সৌমিক দাস জানান, অকাল প্রসব বা প্রিম্যাচিওর্ড ডেলিভারি হল এমন একটি অবস্থা যেখানে গর্ভাবস্থার ৩৭ তম সপ্তাহ শুরু হওয়ার আগেই শিশু জন্ম নিয়ে নেয়। যে প্রিম্যাচিওর্ড বেবিদের (অকাল শিশু) সম্পূর্ণভাবে বৃদ্ধি ও বিকাশ হয় না এবং এর আগেই তাদের জন্ম হয়ে যায়, তাদের প্রায়ই জটিল চিকিৎসাগত সমস্যা হয়ে থাকে। এর কারণ হল নির্ধারিত সময়ের আগে জন্ম নেওয়া শিশুদের শরীরের তাপমাত্রা খুব কম থাকে এবং তারা তাদের শরীরের তাপমাত্রাকে ঘরের তাপমাত্রার সঙ্গে অ্যাডজাস্ট করতে পারে না। ফলে নবজাতক জন্ম নেওয়ার বিষয়ে সজাগ ও সচেতন থাকতে হবে বলেই জানান চিকিৎসকেরা।