আরও পড়ুন Snake bites Man: সাপের কামড়, হাসপাতালে সাপ নিয়ে হাজির হলেন জখম ব্যাক্তি!
মহম্মদ আলম কে সম্বর্ধনা জানানো হয়েছে পুস্প স্তবক ও উত্তরীয় পরিয়ে। রাজনৈতিক নেতৃত্বের পাশাপাশি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার সদস্যরাও তাকে সম্বর্ধনা জানিয়েছেন। মুর্শিদাবাদ জেলার বড়ঞা থানার অন্তর্গত বৈদ্যনাথ গ্রামের বাসিন্দা ও ভরতপুর থানার গড্ডা গণপতি আদর্শ বিদ্যালয়ের ছাত্র মহম্মদ আলম রহমান ১০০ শতাংশ শারীরিক প্রতিবন্ধকতাকে সঙ্গে নিয়েই এবারের মাধ্যমিক পরীক্ষা দিয়েছিল। মাধ্যমিকের রেজাল্ট প্রকাশ হতেই স্কুলের সকলকে চমকে দিয়ে প্রথম হয়েছেন মহম্মদ আলম রহমান। তার প্রাপ্ত নম্বর ৬২৫।
advertisement
মেধা তালিকার প্রথম দশের মধ্যে না আসতে পারলেও একশো শতাংশ শারীরিক প্রতিবন্ধকতা নিয়ে গণিতে ৯৮, ভৌতবিজ্ঞানে ৯৪, ভূগোলে ৯৫ পেয়েছে। হাসি ফুটেছে পরিবার সহ গ্রামের এবং স্কুল শিক্ষকদের। ১০০ শতাংশ শারীরিক প্রতিবন্ধী কী না স্কুলের প্রথম। যে নিজে স্নান করতে পারে না, খাবার খাওয়ার জন্য মায়ের সহযোগিতার প্রয়োজন হয়। সে স্কুলের প্রথম। বাবার ছোট্ট মুদিখানার ওপর পরিবারের সংসার। আর্থিক ভাবে স্বচ্ছলতা না থাকলেও সমস্ত বাধা কে উপেক্ষা করেই এগিয়ে চলেছে মহম্মদ আলম রহমান।
আরও পড়ুন Expensive Mango under CCTV: মহার্ঘ 'এই' আম পাহারায় আলিপুরদুয়ারের বাগানে রয়েছে ১২ টি CCTV
তবে শুধু পরিবার না, স্কুলের বন্ধু থেকে শুরু করে শিক্ষকরাও তার দিকে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছে। তার পড়াশোনার দায়িত্ব যেমন নিয়েছেন বড়ঞা থানার ওসি দেবদাস বিশ্বাস ঠিক তেমনই রাজনৈতিক জন প্রতিনিধিরাও দায়িত্ব নিয়েছেন। আলমের স্বপ্ন, ভবিষ্যতে মহাকাশ বিজ্ঞানী হওয়ার। আদর্শ যে স্টিফেন হকিং!
কৌশিক অধিকারী