মুর্শিদাবাদ জেলার নবগ্রাম ব্লকের নগরা কিরীটেশ্বরী গ্রামে কালো ধানের চাষ করছেন ধান চাষিরা। নবগ্রামের বেশ কিছু প্রগতিশীল চাষি, সরকারি উদ্যোগে এই চাষে লাভের মুখ দেখছেন। ধানের মধ্যে যেসব বন্যজাত রয়েছে তার মধ্যে অন্যতম ব্ল্যাক রাইস। কৃষক এবং কৃষি বিশেষজ্ঞের কথায়, এটি মূলত ঔষধি ফসল। অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে ভরা এই কালো চাল ওবেসিটি কমায়, ক্যান্সার প্রতিরোধ করে।
advertisement
আরও পড়ুন- ব্লক প্রশাসন, পুলিশ ও স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার পক্ষ থেকে বন্ধ করা হল নাবালিকার বিয়ে
অন্য ধান চাষের মতোই এই ধানও চাষ করতে হয়, তবে তা সম্পূর্ণ জৈব পদ্ধতিতে। তাই নবগ্রামের কিরীটেশ্বরী, নগড়া, রাজখন্ড, পলসা, ইকরোল গ্রামের প্রগতিশীল চাষিরা ব্ল্যাক রাইস চাষ করে লাভের আশা দেখছেন। ১৪০ থেকে ১৪৫ দিন সময় কালের মধ্যে কৃষক বামদেব মন্ডল এই ধান চাষ করে চলেছেন। আত্মা প্রকল্পের অধীনে এই ধান চাষ করে লাভের মুখ দেখবেন বলে আশাবাদী চাষি বামদেব মন্ডল। এই ধান চাষে সমস্ত ভাবেই সহযোগিতা করছেন নবগ্রাম ব্লক সহকারী কৃষি অধিকর্তাও।
আরও পড়ুন- আকাশ ছোঁয়া সব্জির দামে পকেট ফাঁকা মধ্যবিত্তের
দশ কাঠা জমিতে এই ধান চাষ করছেন চাষি। নভেম্বর মাসের শেষ সপ্তাহে বীজ দেওয়া হয়, জানুয়ারিতে বীজ রোপণ করার পরে মে মাসে ধান পাকতে শুরু করেছে ।অল্প খরচে ও অল্প ব্যয়ে এই ধান চাষ করা হয় এবং অধিক লাভবান করা হয়ে থাকে। এই ধানের রং ও কালো, ভাত ও কালো। শুধুমাত্র খোসা টা সাদা। দশ কিরো সার দিয়ে উন্নত মানের ধান চাষ করা হয়ে থাকে। বর্তমান সময়ে প্রত্যেক মানুষের অসুস্থতা বেড়ে চলেছে। তাই প্রতিটি কৃষক এই ধান চাষের প্রতি আরও আগ্রহ তৈরি করুক চাইছেন ধান চাষিরা।
পরীক্ষামূলক ভাবে কিরীটেশ্বরী গ্রাম পঞ্চায়েতে এই ধান চাষ করা হচ্ছে। এই ধান চাষ সফল হচ্ছে কিনা, তার ওপর নজর রাখা হচ্ছে। তবে কালো চালের অনেক খাদ্যগুন আছে। প্রোটিন অনেকটাই বেশি এই চালে। এই কালো চাল ক্যান্সার নিরাময়ে সাহায্য করে বলে জানান কৃষি আধিকারিক বরুণ খাঁ।
Koushik Adhikary