আরও পড়ুন: তৃণমূলের গড়ে নৌকায় চড়ে মনোনয়ন পেশ শাসক প্রার্থীদের
পঞ্চায়েত নির্বাচনকে ঘিরে অতীতেও বারবার উত্তপ্ত হয়েছে মুর্শিদাবাদ। ২০১৮ সালের নির্বাচনে রেকর্ড মৃত্যু হয় নবাবের জেলায়। এবারেও ভোট ঘোষণা হতেই জেলার রানিনগর, ডোমকল সহ বিভিন্ন এলাকায় শুরু হয় রাজনৈতিক সংঘর্ষ। ভোট ঘোষণার দিনই দুষ্কৃতীদের হামলায় মৃত্যু হয় এক কংগ্রেস কর্মীর। ইতিমধ্যেই ডোমকলে তৃণমূল-সিপিএম সংঘর্ষে ৫২ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। রানিনগরেও মনোনয়নপত্র জমা দেওয়াকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল পরিস্থিতি। তারই মোকাবিলায় মঙ্গলবার প্রধান তিন বিরোধীদলের প্রার্থীরা দল বেঁধে বিডিও অফিসে যান।
advertisement
মঙ্গলবার সকালে ট্রাক্টরে করে দল বেঁধে মনোনয়ন জমা দিতে আসেন বাম, কংগ্রেস ও বিজেপি কর্মীরা। প্রায় সকলের হাতেই ছিল দলীয় পতাকা, বাঁশ ও লাঠি। আক্রমণ হলে প্রতিরোধের বার্তা ছিল স্পষ্ট। যদিও ঝামেলা আটকাতে তৎপর ছিল পুলিশ। রাজ্য নির্বাচন কমিশনের নির্দেশে বিডিও অফিস চত্বরে জারি ছিল ১৪৪ ধারা।
রানিনগরে বিজেপির সঙ্গে দলবেঁধে কংগ্রেস ও সিপিএমের মনোনয়ন জমা দিতে যাওয়ার ঘটনা ঘিরে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তর্জা। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি তথা বহরমপুরের সাংসদ অধীর চৌধুরী বলেন, কোনও বিজেপির কর্মী আমাদের গাড়িতে আসতেই পারেন। তবে এর জন্য আমাদের সঙ্গে বিজেপিকে এক করে দেখাটা ঠিক নয়। এই প্রসঙ্গে বিজেপির মুর্শিদাবাদ দক্ষিণ জেলা সভাপতি শাখারপ সরকার বলেন, মানুষ আজ গণ প্রতিরোধ গড়ে তুলেছে। সাধারণ মানুষ ঐক্যবদ্ধ হয়ে জোট করছে, এতে রাজনৈতিক দলের কিছু করার নেই।
কৌশিক অধিকারী