উত্তরবঙ্গের সঙ্গে দক্ষিণবঙ্গের যোগাযোগকারী জাতীয় সড়ক।এতো কিছু থাকলেও নেই প্রশাসনিক সদিচ্ছা ছিল দীর্ঘদিন ধরেই। যে কারণে পর্যটক থেকে নিত্যযাত্রী কিংবা পরিবহন কর্মী থেকে শহরবাসী প্রত্যেকেই নাকাল হতে হতো সকাল সন্ধে তীব্র যানজটে। রেলগেটের যানজট থেকে মুক্তি চাই ছিলেন শহর বহরমপুর ও জেলা মুর্শিদাবাদের মানুষ।
আরও পড়ুন: রেহাই নেই বৃষ্টির থেকে, আগামী ৩-৪ দিনের আবহাওয়া নিয়ে বড় পূর্বাভাস হাওয়া অফিসের
advertisement
তীব্র যানজট থেকে শহরবাসী, পর্যটক কিংবা পরিবহন কর্মী সবাইকে মুক্তি দিতে সাংসদ তথা তৎকালীন রেল প্রতিমন্ত্রী অধীর রঞ্জন চৌধুরী চুঁয়াপুর রেল গেটের ওপর উড়ালপুল তৈরির উদ্যোগ নিয়েছিলেন ২০১৪ সালে। রেল দফতর থেকে প্রয়োজনীয় অনুমোদনও পেয়েছিল এই ওভারব্রীজ। সাড়ে সাঁইত্রিশ কোটি টাকা বরাদ্দে সেই মতো কাজও শুরু হয়েছিল। কিন্তু রাজনৈতিক দলদলিতে বারবার থমকে গিয়েছিল কাজ। অবশেষে আগষ্ট মাসে উড়ালপুল তৈরি কাজ সম্পন্ন করেছিল, তবে দুর্গাপুজোর আগে খুলে দেওয়ার কথা থাকলেও দুর্গাপুজোর পরেই সাধারণ মানুষের জন্য এই উড়ালপুল খুলে দেওয়া হল, উড়ালপুল খুলে দিতেই দীপাবলীর আগেই যানজট থেকে মুক্তি পেল শহরবাসী।
আরও পড়ুন: 'চিঠি যখন পাওয়া গেছে..', অবিলম্বে মমতাকে জিজ্ঞাসাবাদের দাবি তুললেন শুভেন্দু অধিকারী
বহরমপুর শহরবাসীরা দ্রুত চালু হোক এই রেল ওভারব্রীজ চালু লোক দাবি করেছিলেন। এই ব্রীজ চালুর ফলে নিত্যদিনের যে যানজট তা কমতে শুরু করেছে । মেডিকেল কলেজ যাওয়ার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এই রাস্তায় রেল গেটের কারণে দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করতে হতো রোগীদের। স্কুল পড়ুয়াদেরও অপেক্ষা করতে হতো ঘন্টার পর ঘণ্টা। ফলে আর কোনও চিন্তার কারণ নেই। সরকারী ভাবে উদ্বোধন না হলেও জনসাধারণের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছে উড়ালপুল। আর তাতেই খুশী পথচারী থেকে নিত্যযাত্রী সকলেই।
---কৌশিক অধিকারী