বহরমপুরে গোরাবাজার ফাঁড়ির সামনে, মারুতি ৮০০-এর উপরে নারায়ণের চায়ের দোকান এখন নজর কেড়েছে সকলের। একসময় বহরমপুরে গঙ্গার তীরে দোকান ছিল নারায়ণ চৌধুরীর। সম্প্রতি শহরের উন্নয়নের জন্য কয়েকটি দোকান ভেঙে দেয় পৌরসভা। ভেঙে দেওয়া দোকানগুলির মধ্যে তাঁর দোকানও ছিল। স্বভাবতই মূহুর্তের মধ্যে বেকার হয়ে পড়েন তিনি। কিছুদিন বেকার থাকার পরেই নিজের শখের মারুতি গাড়িটির ভোল বদলে চায়ের দোকানের রূপ দেন নারায়ণ। বহরমপুরের কলেজ ঘাট থেকে গোরাবাজার ঘাট একাধিক জায়গায় চায়ের দোকান থাকলেও তাঁর হাতে তৈরি চা-এর সুনাম রয়েছে শহর জুড়ে। তাঁর তৈরি এক কাপ চা-এ চুমুক দিতে চান সকলেই।
advertisement
আরও পড়ুন: প্লাস্টিক বর্জনে পড়ুয়াদের সচেতন করতে স্কুলে বিতর্ক সভা, আয়োজনে ব্লক প্রশাসন
আরও পড়ুন: বিচিত্র মুর্শিদাবাদের এই স্কুল! আছে ছাত্রী কিন্তু নেই কোনও শিক্ষিকা
তাই নতুন ভাবে চায়ের দোকান খুলতেই শহরের চা প্রেমীরা খুশি । তবে নারায়ণ বাবুর আক্ষেপ, 'এখনও অনেকেই আমার এই নতুন চায়ের দোকানের কথা জানেননা। তাই চায়ের ক্রেতাসংখ্যাও কমে গিয়েছে।'দোকান ভাঙার পরে নির্দিষ্ট কোন জায়গা না থাকায় ফুটপাথেই মারুতি দাঁড় করিয়ে চা বিক্রি করেন সকাল ৯ টা থেকে রাত ৯ টা পর্যন্ত।
তারপরে আবার সেই গাড়ি চালিয়ে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দেন। বর্তমানে বেচা কেনা কম হলেও আশায় বুক বেঁধেছেন বিক্রেতা নারায়ণ চৌধুরী। তাঁর কথায়, 'ভ্রাম্যমাণ চা-এর দোকান করা হয়েছে। সবাই জানে আমার দোকান ভাঙা গিয়েছে। বহরমপুর শহর শুধু নয়, জেলার বিভিন্ন জায়গা থেকেও চা খেতে আসেন সবাই। শীতের সময়ে খেজুর গুড়ের চা বিখ্যাত।' ক্রেতারা জানান, গোরাবাজার পুলিশ ফাঁড়ির সামনেই এই চা-এর দোকানের অনেক সুনাম। কৃষ্ণনাথ কলেজের ছাত্র ছাত্রীরাও চা খেতে আসে এখানে।
KOUSHIK ADHIKARY