সোমবার ভোরে অত্যন্ত সঙ্কটজনক অবস্থায় ওই ছাত্রীকে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানোর মিনিট পাঁচেকের মধ্যেই মৃত্যু হয় তার। মৃতের পরিবার সূত্রে জানা গেছে, রবিবার রাত ১১টা নাগাদ নিজের বাবা-মার সঙ্গে ঘুমাতে যায় সান্ত্বনা মাঝি নামে বছর তেরোর ওই ছাত্রী। কিছুক্ষণের মধ্যেই ঘুম থেকে উঠে সান্ত্বনা বলে তার হাতে প্রচণ্ড জ্বালা করছে। এর প্রায় ঘণ্টাখানেক পর সে বমি করতে শুরু করে এবং ধীরে ধীরে সংজ্ঞা হারায়। সেই সময় বাড়ির লোক তাকে প্রথমে পলাশী হাসপাতালে নিয়ে যায় চিকিৎসার জন্য। পলাশী হাসপাতালে সান্ত্বনার অবস্থার অবনতি হলে সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসকরা তাকে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে রেফার করে দেন।
advertisement
আরও পড়ুন: সংখ্যাতত্ত্বে ২১ জুন; দেখে নিন কেমন যাবে কালকের দিন
সান্ত্বনার দাদা রাঘব মাঝি বলেন, 'বোনকে ডাক্তাররা মেডিক্যাল কলেজে রেফার করে দেওয়ার পর কয়েকজন গ্রামবাসীর পরামর্শে পাগলাচণ্ডীর সাজাপুরে ওঝার কাছে নিয়ে যাওয়া হয়। সেই ওঝা সাপের কামড়ে অসুস্থ বোনকে জড়িবুটি খাইয়ে তাকে বাড়িতে নিয়ে যেতে বলেন। কিন্তু বাড়িতে নিয়ে আসার পরও আমার বোনের জ্ঞান ফেরেনি। উল্টে তার অবস্থার আরও অবনতি হতে থাকে।'
আরও পড়ুন: বড় পর্দায় ফিরছেন রণবীর কাপুর, সামনে এল 'শামসেরা'-র ঝলক! দেখুন
রাঘব বলেন, 'সেই সময় আমরা বোনকে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে এসে ভর্তি করাই। সকাল ৬টা নাগাদ মুর্শিদাবাদ মেডিকেল কলেজে এসে পৌঁছানো মাত্রই ডাক্তাররা সান্ত্বনাকে একটি ইঞ্জেকশন দেন কিন্তু তার মিনিট পাঁচেকের মধ্যেই সান্ত্বনার মৃত্যু হয়।' মৃতার ভাই বলেন, 'গত কাল আমাদের এলাকায় প্রচণ্ড গরম পড়েছিল। সে কারণে মশারি না টাঙিয়ে শুয়ে ছিল সান্ত্বনা। সেই সময় কোনও বিষধর সাপ ওকে কামড়ে ঘর থেকে বেরিয়ে যায়। যদিও সাপটিকে আমরা দেখতে পাইনি।' ইতিমধ্যেই সান্ত্বনার দেহ মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে ময়নাতদন্তের জন্য।
কৌশিক অধিকারী