পরিবারের অভিযোগ, ৪৩ বছর বয়সী আবদুল বারিককে থানার লক আপে নির্যাতন করে মেরে ফেলা হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে পাকুড় আদালতে মামলা দায়ের করেছেন মৃত আবদুল বারিকের পরিবার। যদিও লকআপে নির্যাতন করে মেরে ফেলার অভিযোগকে ভিত্তিহীন বলে জানিয়েছেন পাকুড়ের এসডিপিও।
জানা গিয়েছে, গত ১৫ জুন পাকুড়ের বাসিন্দা সাজ্জাদ সোনু নামে এক ব্যক্তি সামশেরগঞ্জের চাঁদপুর এলাকায় টোটো কিনতে আসেন। তিনি ৫০ হাজার টাকা নিয়ে অন্তরদীপা গ্রামের ইউসুফ খের কাছে আসেন। কিন্তু তারপর থেকে সাজ্জাদ সোনুর আর কোন খোঁজ মেলেনি। বিষয়টি নিয়ে তদন্ত শুরু হয়। তদন্তে নেমে গ্রেফতার করা হয় দুজনকে।
advertisement
আরও পড়ুন - Bangladesh News: হচ্ছে টা কী? শাকিব সহ সিনিয়ররা খেলবেন না জিম্বাবোয়ের বিরুদ্ধে, তামিমের খোঁজ নেই!
গত ৩ জুলাই মধ্য রাতে অন্তরদীপা গ্রাম থেকে আব্দুল বারিককে গ্রেফতার করে পাকুড় থানার পুলিশ। পরিবারের অভিযোগ, বুধবার বিকেলে হঠাৎই তাদের জানানো হয়, আব্দুল বারিক থানার লকাপে আত্মহত্যা করেছেন।
আরও পড়ুন - Astrology Tips: ‘‘আমি কি বড়লোক হব?’’ জ্যোতিষ শাস্ত্র মতে মা লক্ষ্মী নিজেই দেন ইঙ্গিত
কিন্তু পরিবারের প্রশ্ন, গত ৩ জুলাই গ্রেফতার করে ৬ জুলাই পর্যন্ত কেন থানায় লকআপে তাঁকে রাখা হয়েছিল? কেনই বা তাঁকে কোর্টে তোলা হয়নি? লকআপের মধ্যে কিভাবে ফাঁসি দিতে পারেন? এইসব প্রশ্ন নিয়েই আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন অন্তরদীপা গ্রামের ওই পরিবারের সদস্যরা। যদিও পুলিশের দাবি, বুধবার লকআপের বাথরুমে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছেন আব্দুল বারিক। পাকুড় হাসপাতালে মৃতদেহ ময়না তদন্তের পর পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। এদিকে বিষয়টি নিয়ে তদন্তের দাবি জানিয়েছেন মৃতের স্ত্রী ও পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা।
Kaushik Adhikary