সুতি থানার পুলিশ সেই সময় সারদাকে আদালতে পেশ করলে তাকে খড়গ্রাম নগরের আম্বেদকর চাইল্ড কেয়ার ইনস্টিটিউট ফর গার্লসে রাখার নির্দেশ দেয় আদালত। নিজের মাতৃভাষা ছাড়া আর কোনও ভাষা না জানায় সারদার বাড়ি খুঁজে পেতেও সমস্যা দেখা দেয়। এবছর গত ৭ই জুলাই নিজের পরিবারের নাম ও ঠিকানা জানায় সারদা মুর্মু। এরপরেই তৎপরতা গ্রহণ করে হোম কর্তৃপক্ষ।
advertisement
আরও পড়ুন : গা ছমছমে ভাইরাল ভিডিও, সোশ্যাল মিডিয়া কাঁপিয়ে মুহূর্তেই লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে ভিউ
অবশেষে আম্বেদকর চাইল্ড কেয়ার ইনস্টিটিউট ফর গার্লস হোম থেকে মালদা জেলার হবিবপুর থানার কৃষ্ণপুরে রওনা দেয় এক প্রতিনিধি দল। হবিবপুর থানার সঙ্গে যোগাযোগ করে তার পরিচয় ও পরিবার খুঁজে বের করা হয়।
গত ১৪ই জুলাই স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েত ও থানার পক্ষ থেকে তার পরিবারকে চিঠি দিয়ে জানানো হয় সারদা মুর্মুর সন্ধানের কথা। সেই চিঠির সূত্র ধরেই অবশেষে সারদার মা ও মাসি পৌঁছয় নগরের হোমে। ইতিমধ্যেই আঠারো বছর পূর্ণ হয়েছে সারদার। অবশেষে প্রশাসনের নির্দেশে আদিবাসী তরুণী সারদা মুর্মুকে তুলে দেওয়া হল পরিবারের সদস্যদের হাতে।
উপস্থিত ছিলেন খড়গ্রামের বিডিও বাপী ধর, হোমের সুপারিনটেনডেন্ট মিঠু মণ্ডল। গত দুই বছর ধরে এই হোমেই পড়াশোনা ও বেড়ে ওঠা সারদা মুর্মুর। তিন বছর পরে পরিবারকে দেখতে পেয়ে খুশিতে ভেসেছে সারদাও। হোমের দিদিদের ছেড়ে তিন বছর পর মা-এর হাত ধরে বাড়ি ফিরে গেল সারদা মুর্মু।
আরও পড়ুন : অবিশ্বাস্য! পৃথিবী থেকে বুলেট ট্রেনে চড়ে সোজা চাঁদে! জেনে নিন কীভাবে
মঙ্গলবার সকালে নিজের বাড়ি মালদা জেলার হবিবপুর থানার কৃষ্ণপুর গ্রামে পৌঁছে যায় সারদা মুর্মু। আদিবাসী পরিবারের নিজের মেয়েকে ফিরে পেয়ে খুশি হয়েছেন পরিবারের সদস্যরা । দীর্ঘ তিন বছর পরে মা ও মাসির কাছে আবার আগের মতো স্নেহে আদরে থাকবে সারদা মুর্মু। বর্তমানে এই গ্রাম ভারত বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী গ্রাম। আর এই গ্রাম থেকে কাজের আশায় কন্যাকে নিয়ে দিল্লি গিয়েছিলেন সারদার মা। অবশেষে প্রশাসনের সহযোগিতায় ফিরে এল সারদা মুর্মু। ফিরল তার নিজের বাড়িতে।
প্রতিবেদনঃ কৌশিক অধিকারী ও হরষিত সিংহ
মালদা ও মুর্শিদাবাদ