কী দেখবেন মুর্শিদাবাদে ?
নবাবি স্থাপত্য আর শশাঙ্কের রাজধানীর পাশাপাশি অবশ্যই ঘুরে আসতে পারেন মোতিঝিল পার্কে। প্রকৃতির মাঝে এই পার্কের উদ্বোধন হয়েছিল ২০১৫ সালে। রাজ্য পর্যটন দপ্তরের অধীনে থাকা এই পার্কে তুলে ধরা হয়েছে স্বাধীন সুবে বাংলা থেকে পলাশির প্রান্তরে মীরজাফরের বিশ্বাসঘাতকতায় সিরাজের পরাজয়ের কাহিনি। শুধু ইতিহাস নয়, ভৌগোলিক নিদর্শনও রয়েছে এখানে। ভাগীরথীর গতিপথ পরিবর্তনে তৈরি হওয়া অজস্র অশ্বক্ষুরাকৃতি হ্রদ রয়েছে এই অঞ্চলে।
advertisement
মোতিঝিল এমনই এক হ্রদ। নবাবি আমলে এই হ্রদে মুক্তো চাষ করা হত আর তার থেকেই নাম মোতিঝিল। এখন মুক্তো চাষ না হলেও শীত পড়তেই পরিযায়ী পাখির দল সাঁতার দেয় জলের বুকে। রয়েছে ৮ বিঘার গোলাপবাগান, ৪ বিঘা জমি জুড়ে শিশু উদ্যান, আমবাগান, হরেক রকমের ফুলবাগান। আলো পড়ে আসতেই কৃত্রিম আলো আর শব্দের বিন্যাসে জেগে ওঠে ইতিহাস। ঘোড়ার ক্ষুরের শব্দে জীবন্ত হয়ে ওঠে আলিবর্দির রাজত্ব, ঘসেটি বেগম, মীরকাশেম, জগৎ শেঠের ষড়যন্ত্র,সিরাজের তরবারির ঝনঝন।
আরও পড়ুন : আজও দাঁড়িয়ে রয়েছে প্রাচীন বাংলার রাজধানীর সৌধ, ঘুরে আসুন মালদহের গৌড়
নবাব অলিবর্দির কন্যা তথা সুবে বাংলার নবাব সিরাজের মাসি ঘসেটি বেগমের রাজপ্রাসাদ ‘শাহি দালান’ও ছিল মোতিঝিলের পাড়ে। প্রকৃতিতীর্থের অন্যত্র রয়েছে মুর্শিদকুলি খাঁ, আলিবর্দি, সিরাজ ও ওয়ারেন হেস্টিংস-এর মূর্তি। অশ্বক্ষুরাকৃতি হ্রদের বাঁধানো পাড় বরাবর রয়েছে ৭ কিলোমিটার দীর্ঘ সুদৃশ্য পথ। সেই পথে হাঁটার পাশাপাশি পর্যটকদের জন্য চলে ব্যাটারিচালিত গাড়ি।
কীভাবে পৌঁছবেন : মুর্শিদাবাদ রেলস্টেশনটি হাওড়া ও কলকাতা ও শিয়ালদহ স্টেশনের সাথে যুক্ত। এছাড়াও রাজ্যের যেকোনো বড়ো জায়গার সাথে রয়েছে বাস বা গাড়ির মাধ্যমে যোগাযোগ।
আরও পড়ুন : রাধাষ্টমীতে কোচবিহারে বড় দেবীর মন্দিরে স্থাপন হল ময়নাকাঠ, শুরু হবে মূর্তি গড়া
যোগাযোগ : কলকাতায় ডালহাউসি তে ট্যারিজম বিভাগে গিয়ে ঘর বুকিং করা যাবে। এছাড়াও অনলাইনে বুক করা যাবে। একটি মতিঝিল ভবন আছে। তার মধ্যে ২টো শুট রুম (ভাড়া দৈনিক ৩৫০০টাকা জিএসটি) ও স্ট্যান্ডার্ড রুম আছে চারটে (ভাড়া দৈনিক ৩০০ টাকা সাথে জিএসটি)।





