প্রয়াত জওয়ানের মূর্তি প্রতিষ্ঠার অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ভারতীয় সেনার আধিকারিক নবীন বিজরানিয়া, খড়গ্রামের বিধায়ক আশিস মার্জিত। দেশের কাজ করতে গিয়ে মারা যান প্রীতম কুমার দত্ত। মা-বাবার একমাত্র সন্তান তিনি। বালিয়া গ্রামের যে মাঠে ছোট থেকে খেলে বড় হন, সেখানেই প্রীতমের মূর্তি প্রতিষ্ঠা করা হয়।
দত্ত পরিবার জানায়, ছোট থেকেই সেনাবাহিনীতে যোগ দিয়ে দেশের সেবা করার ইচ্ছে ছিল প্রীতমের। সেইমত বড় হয়ে ১ এপ্রিল, ২০১৮ সালে গোর্খা টেরিটোরিয়াল আর্মিতে যোগ দেন। মনিপুরের নানী জেলায় রেল লাইনের কাজের নিরাপত্তার দায়িত্বে নিযুক্ত ছিলেন প্রীতম কুমার দত্ত। কিন্তু গত বছরের ২৯ জুন, ২০২২ সালে ভয়ঙ্কর এক দুর্ঘটনায় বালিয়া গ্রামের দত্ত পরিবারে সদস্যদের জীবন অন্ধকারে ঢেকে যায়। না, তাঁদের কিছু হয়নি। কিন্তু পরিবারের সাহসী ছেলে প্রীতম মনিপুরে কর্মরত অবস্থায় এক ভয়ঙ্কর ধসে নিখোঁজ হয়ে যায়। তখনই আশঙ্কার মেঘ জমে ছিল। পাঁচদিন পর এই বীর জওয়ানের দেহ উদ্ধার হয়।
advertisement
আরও পড়ুন: শাহরুখের 'পাঠান' চলাকালীন হুড়মুড়িয়ে ভাঙল ব্যালকনি, নাচ-গান মুহূর্তে বদলাল হাহাকারে
সেনাবাহিনী প্রীতম কুমার দত্তর দেহ বালিয়া গ্রামে নিয়ে আসে। এরপর গান স্যালুটের মধ্য দিয়ে তাঁকে শেষ বিদায় জানানো হয়। সন্তান হারানোর দুঃখ বুকে চেপেই দিন কাটাচ্ছেন প্রীতমের বাবা-মা। তবে তাঁদের বীর সন্তানের কথা যাতে সকলে জানতে পারে, মনে রাখে তাই নিজস্ব খরচেই বৃহস্পতিবার তাঁরা প্রীতম কুমার দত্তর মূর্তি স্থাপন করেন।
কৌশিক অধিকারী