মুর্শিদাবাদ জেলার সদর শহর বহরমপুর রবীন্দ্র সদনে, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় মুর্শিদাবাদ জেলা তথ্য ও সংস্কৃতি দফতরের উদ্যোগে নজরুল সন্ধ্যার আয়োজন করা হয়। নজরুল সন্ধ্যাতে বহরমপুর শহরের বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে নাচ গান সংগীত ও কবিতা পাঠ পরিবেশন করা হয়। পাশাপাশি, কান্দি, জঙ্গিপুর, লালবাগ সহ জেলার অন্যান্য মহকুমাতেও এই নজরুল সন্ধ্যার আয়োজন করা হল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায়। কোভিড মহামারী পরিস্থিতি পেড়িয়ে, এই নজরুল সন্ধ্যায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে প্রত্যেক জায়গায় দর্শক ছিল চোখে পড়ার মতো।
advertisement
আরও পড়ুন- ঔষধি ফসল, মুনাফাও দারুণ! 'এই' চাষ করে নজর কাড়ছেন নবগ্রামের চাষিরা!
কাজী নজরুল ইসলামের জন্ম ১১ জ্যৈষ্ঠ ১৩০৬ বঙ্গাব্দে, ভারতের পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমান জেলার চুরুলিয়া গ্রামে। গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডার হিসাবে সেটা ছিল ১৮৯৯ সালের ২৬শে মে। বাবার নাম কাজী ফকির আহমেদ, মা জাহেদা খাতুন। দরিদ্র পরিবারে জন্মের পর দুঃখ-দারিদ্র্য ছিল তাঁর নিত্যসঙ্গী। তাঁর ডাকনাম ছিল দুখু মিয়া।
আরও পড়ুন- আকাশ ছোঁয়া সব্জির দামে পকেট ফাঁকা মধ্যবিত্তের
অভাবী পরিবারে বেড়ে ওঠা এ প্রতিভা, জীবিকার তাগিদে সম্পৃক্ত হয়েছেন নানা পেশায়। এই সময়গুলোতেই কালি ও কলমে স্ফুলিঙ্গ ছড়িয়েছেন তিনি। বাংলা কবিতায় নজরুলের আবির্ভাব একেবারেই উল্কার মতো।
সংগীত বিশিষ্টজনদের মতে, রবীন্দ্র পরবর্তী নজরুলের গান অনেকটাই ভিন্ন ধরনের নির্মাণ। অধিকাংশ গান সুরপ্রধান। বৈচিত্রপূর্ণ সুরের লহরী কাব্যকথাকে তরঙ্গায়িত করে এগিয়ে নিয়ে যায়। বাংলা সাহিত্যে বিদ্রোহী কবি হিসেবে পরিচিত হলেও তিনি ছিলেন একাধারে কবি, সংগীতজ্ঞ, ঔপন্যাসিক, গল্পকার, নাট্যকার, প্রাবন্ধিক, সাংবাদিক, চলচ্চিত্রকার, গায়ক ও অভিনেতা। তাই এদিন বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলামের জন্ম জয়ন্তী পালন করা হল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় মুর্শিদাবাদ জেলার বিভিন্ন জায়গায়।