বছর বছর ভোট আসলেই প্রতিশ্রুতির বাণ ডাকে। কিন্তু মাথা গোঁজার আশ্রয় হারানো মানুষগুলো যে তিমিরে থাকে সে তিমিরেই রয়ে যায়।
ভোট চলে গেলে রাজনীতিকরা আর ফিরেও তাকান না। ভিটে মাটি হারানো মানুষগুলোর দুঃখ দুর্দশা শোনার জন্য প্রশাসনের কাছে সময় নেই। সামান্য আশ্রয়ের তাগিদে বহু বার তারা প্রশাসনের দারস্থ হলেও নাজেহাল হয়ে হাল ছেড়ে ছেড়ে দিয়েছেন। তাদেরই একজন জানালেন, 'গেল বর্ষায় গঙ্গাগর্ভে ঘর চলে গেছে। তারপর বহুবার কাগজ পত্র সব জমা দিয়েছি। কিন্তু প্রশাসনিক তরফে কোনো সাড়াশব্দ নাই। পরের জায়গায় থাকি। তারা এবার বলছে জায়গা ছেড়ে দাও। কতদিন থাকতে দেবে অন্যের জায়গায়? এখন কোথায় যাব কীভাবে থাকব আমরা'!
advertisement
আরও পড়ুনঃ খড়গ্রামে আগ্নেয়াস্ত্রসহ পুলিশের জালে এক
কেউ বলছেন,'পরের জায়গায় আছি তারা বলছে একবছর হয়ে গেছে এবার ওঠো কিন্তু স্বামী সন্তান সংসার নিয়ে যাবো টা কোথায়! আমরা সত্যিই অসহায়। কিছু ব্যাবস্থা অন্তত পক্ষে সরকার থেকে করে দেওয়া হোক'। সব হারিয়ে এখন একটাই দাবি তাদের, একটা ঘর; যেখানে নিজের মতো করে থাকবেন তাঁরা। যেখানে সরকারি তরফে সাংবাদিক সম্মেলন করে উন্নয়নের তালিকা তুলে ধরা হয় সেখানে বছরের পর বছর এই মানুষ গুলো রয়ে যায় অন্ধকারে। তাঁদের কথা ভাবার মতো কী কেউ নেই? প্রশ্ন একটাই কবে আশ্বাসের পরিবর্তে ঘর মিলবে তাদের?
আরও পড়ুনঃ বন্দুকের বদলে গিটার! রাখিবন্ধনে পুলিশ আধিকারিকের এমনই ছবি দেখল জিয়াগঞ্জ
ঘর হারানো মানুষগুলোর সমস্যা নিয়ে জিজ্ঞাসা করতেই নিমতিতা অঞ্চলের প্রধান মইদুল ইসলাম বলেছেন, "গঙ্গাভাঙনের সময় যে কটা পরিবার ছিল সকলকে তখন সহযোগিতা করা হয়েছে। আমি উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে আমার তরফ থেকে বলেছি। শুধু ত্রিশ টা পরিবার না ওখানের প্রায় দুশো টি পরিবারের জন্যই সাহায্যের ব্যাবস্থা করা হোক। এবং যে কটা কাগজ এসেছে তাতে সই করে ইতিমধ্যেই পাঠিয়েছি। বিডিও আশ্বাস দিয়েছেন অতিদ্রুত সমস্যার সমাধান হবে"। কিন্তু এই দ্রুত সমস্যার সমাধান কবে হবে সেই অপেক্ষায় দিন গুজরান করছে অসহায় মানুষ গুলো।
কৌশিক অধিকারী





