স্থানীয় সুত্রে খবর, সোমবার দুপুরে ইমামনগর গ্রামের কয়েকজন শিশু স্থানীয় আম বাগানে খেলছিল। সেই সময় তারা একটি গোলাকার বস্তুকে পাশের আস্তাকুঁড় থেকে কুড়িয়ে আনে। সেটাকে বল ভেবেছিল। যেই ওই গোলাকার বস্তুতে পা দিয়ে লাথি মেরেছে ওমনি সেটা তীব্র শব্দে ফেটে যায়। বিস্ফোরণের তীব্রতা দেখে স্থানীয়দের দাবি, ওটা বোমা। আর তাতে গুরুতর জখম হয়েছে গ্রামেরই চার শিশু। বিস্ফোরণের আঘাতে ওই শিশুরা কার্যত দূরে ছিটকে গিয়ে পড়ে।
advertisement
আরও পড়ুন: লরিকে ওভারটেক করতে গিয়ে ভয়ঙ্কর দুর্ঘটনা বাসে! আহত বহু যাত্রী, আশঙ্কাজনক ২
আহত চার শিশুকে প্রথমে বেনিয়াগ্রাম প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে একজনের অবস্থার অবনতি হলে তাকে জঙ্গিপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল পাঠানো হয়। ঘটনার খবর পেয়েই ইমামনগর গ্রামে ছুটে আসেন ফরাক্কা থানার আইসি দেবব্রত চক্রবর্তী। এসে পৌঁছয় বিশাল পুলিশ বাহিনী। কী করে আম বাগানে বোমা এল তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। তবে একসঙ্গে চার শিশু এইভাবে আহত হওয়ায় তীব্র উত্তেজনা ছড়িয়েছে গোটা গ্রামে।
এদিকে ফরাক্কার এই মর্মান্তিক ঘটনার পর মুর্শিদাবাদের অন্যত্রও বোমা বিস্ফোরণ হয়েছে। রানিনগরের নবির মোড় এলাকায় বোমা বিস্ফোরণে উড়ে গিয়েছে তৃণমূল কর্মীর বাড়ির চাল। মফিজুল মোল্লা নামে ওই তৃণমূল কর্মীর বাড়ির সামনে অবস্থিত গোয়ালঘরের চাল বোমা বিস্ফোরণে উড়ে যায়। গোটা ঘটনায় এলাকায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। বিরোধীদের অভিযোগ, পঞ্চায়েত ভোটে অশান্তির সৃষ্টির জন্য ওই তৃণমূল কর্মীর বাড়িতে বোমা মজুত করা হয়েছিল। সেটাই হঠাৎ ফেটে গিয়েছে।
একই দিনে জেলায় পরপর দুটি বোমা বিস্ফোরণে ঘটনায় তীব্র চঞ্চল্য ছড়িয়েছে মুর্শিদাবাদে। এমনিতেই এই জেলায় গত কয়েক মাস ধরেই কখনও বিস্ফোরণ ঘটছিল, আবার কখনও বোমা-বন্দুক উদ্ধার হচ্ছিল। এবার পঞ্চায়েত নির্বাচন প্রক্রিয়া চলার মধ্যেই এই ঘটনায় নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। সেইসঙ্গে পুলিশ প্রশাসনের ভূমিকা নিয়েও ক্ষোভ তৈরি হয়েছে মানুষের মধ্যে।
কৌশিক অধিকারী