চৈত্র মাসে কালবৈশাখীর ঝড় সেইসঙ্গে অল্প বিস্তর বৃষ্টির সঙ্গে পরিচিত বাংলা। কিন্তু এবার নিম্নচাপের জেরে টানা বৃষ্টি হচ্ছে দক্ষিণবঙ্গের বিস্তীর্ণ এলাকায়। আর এই অসময়ের অতিরিক্ত পরিমাণ বৃষ্টি আশীর্বাদের বদলে অভিশাপ হয়ে দেখা দিয়েছে মুর্শিদাবাদের চাষিদের জীবনে। অকাল বর্ষণে বিঘের পর বিঘে জমি জলের তলায় চলে গিয়েছে। এতে জমিতেই পচে যাচ্ছে পেঁয়াজ, রসুনের মত ফসল।
advertisement
আরও পড়ুন: পানীয় জলের সঙ্কট চরমে, দ্রুত সমস্যা না মিটলে বড় আন্দোলনের হুঁশিয়ারি তৃণমূলের
এই পরিস্থিতিতে চাষিদের মধ্যে শুরু হয়েছে হাহাকার। কোনভাবেই ফসল বাঁচানো সম্ভব হয়নি। কারণ ইতিমধ্যেই জমিতে হাঁটু জল দাঁড়িয়ে গিয়েছে। এই অবস্থায় ক্ষতিগ্রস্ত চাষিদের একটাই চিন্তা, এরপর কী হবে? কী করে এই বিপুল ক্ষতি সামলানো যাবে?
স্থানীয় সূত্রে খবর, শনিবার ও রবিবার সারারাত ধরে ব্যাপক বৃষ্টি হয়েছে মুর্শিদাবাদ জেলায়। আর তাতেই বিপদে পড়েছেন কৃষকরা। যেমন, সুতির সরলা বসন্তপুর লোকালপুর গ্রামে প্রায় ১০০ থেকে ১৫০ বিঘা পেঁয়াজ ক্ষেত এখন জলের তলায়। কৃষকদের আশঙ্কা, ইতিমধ্যেই সব পেঁয়াজ পচে গিয়েছে। জমি থেকে জমা জল বার করতে না পারায় কোনও ফসলই বাঁচানোর সম্ভব হবে না বলে আক্ষেপের সুরে জানিয়েছেন কৃষকরা।
এই অকাল বর্ষণে ক্ষতিগ্রস্ত পেঁয়াজ চাষি সুদেব মণ্ডল বলেন, ব্যাঙ্কের ঋন নিয়ে এই বছর পেঁয়াজ চাষ করেছিলাম। কী হবে জানি না। গত বছরও একই ধরনের সমস্যা হয়েছিল। পরপর দু'বছর লোকসান হওয়ায় এবার পথে গিয়ে বসতে হবে।
কৌশিক অধিকারী