১৮৫৯ সালে তৈরী হওয়া মুর্শিদাবাদের ঐতিহ্যবাহি শহরে কান্দি রাজ উচ্চ বিদ্যালয়। কান্দির বাসিন্দাদের সন্তানদের শিক্ষা ও সংস্কৃতির কথা ভেবে তৈরি হওয়া এই রাজ উচ্চ বিদ্যালয় বহু প্রাচীন। বছর খানেক আগে সংখ্যালঘু দফতরের সহযোগিতায় এই বিল্ডিং সংস্কারের কাজ চলছিল।
আরও পড়ুনঃ রাস্তা না চাষের জমি বোঝা দায়! ধানের চারা রোপণ করে প্রতিবাদ গ্রামবাসীদের
advertisement
বহুতল বিশিষ্ট অত্যাধুনিক ক্লাস তৈরি সহ বিভিন্ন পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছিল। তার অনুমোদনও দেওয়া হয়েছিল। কেন্দ্রীয় সরকারী দফতর আইটিআই-এর মাধ্যমে টেন্ডার ডেকে কাজ শুরু হয়। কিন্তু অর্ধেক কাজ না হতেই বন্ধ হয়ে যায় সংস্কার।
এই স্কুলের সঙ্গে শহরবাসীর প্রায় তিন পুরুষের প্রথম স্কুল জীবনের স্মৃতি অব্যহত। স্কুলের অসমাপ্ত কাজের ফলে সমস্যায় পড়তে হয় পড়ুয়াদের। ফলে কান্দি বাঁধাপুকুর নিবাসী বাসিন্দা তমাল কান্তি দে কলকাতা হাইকোর্টের বর্তমানে আইনজীবী । তিনি এগিয়ে এসে আগে কয়েক ধাপে আর্থিক চেক তুলে দিয়েছেন।
আরও পড়ুনঃ এ যেন উলোট পূরাণ! পঞ্চায়েত সমিতির বোর্ড গঠনে রামধনু জোট
এবার তৃতীয় কিস্তির আড়াই লক্ষ টাকা আর্থিক চেক তুলে দিলেন কান্দি রাজ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ভুমানন্দ সিংহের হাতে। জানা গিয়েছে, স্কুলেরই বহু বছরের প্রাক্তন ছাত্র তমাল কান্তি দে ১৯৬৮ সালে পাশ করেছেন ও প্রাক্তনী দের এক সংগঠন থেকে কান্দি রাজ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের করা আবেদনের সাড়া দিয়ে এগিয়ে আসে। পুরাতন ক্লাসরুম সহ বিভিন্ন ভবনগুলি ফের সংস্করণের কাজ শুরু করা হচ্ছে।
জানা গিয়েছে, আনুমানিক প্রায় কমবেশি ১৫ লক্ষ টাকা খরচ হতে পারে। তাই বর্তমানে আড়াই লক্ষ টাকা করে তিনবার তিনটি কিস্তিতে দিয়ে মোট সাড়ে সাত লক্ষ টাকা চেক দেওয়া হয়। এই দিয়ে অসমাপ্ত কাজের রক্ষনা বেক্ষন করা হবে। তিনি দশ লক্ষ টাকা দিচ্ছেন সংস্কারের জন্য বলে জানান প্রধান শিক্ষক ভুমানন্দ সিংহ।
আরও পড়ুনঃ ৫ টাকায় মিলছে জিভে জল আনা মিষ্টি, সত্যি যেন ‘অমৃত’! কোথায় জানেন?
গত ডিসেম্বরে আগেই আড়াই লক্ষ টাকা দিয়েছেন। পরে ফেব্রুয়ারি মাসে আরও আড়াই লক্ষ টাকা, এবার তিনি আরও আড়াই লক্ষ টাকার চেক তুলে দিলেন। যাতে খুশি প্রকাশ করেছেন এলাকার বাসিন্দারা ও কান্দি রাজ উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষকরাও।
তবে আরও প্রাক্তনী ছাত্ররা এগিয়ে এলে স্কুল ভবন আরও সংস্কার করা হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন প্রধান শিক্ষক ভুমানন্দ সিংহ। সরকারীভাবে বিল্ডিং সংস্কার করার জন্য অর্থ দেওয়া হয়না। ফলে স্কুলের প্রাক্তনীরা এগিয়ে এলে ভবন সংস্কার করা হতে পারে বলে জানান প্রধান শিক্ষক।
তমাল কান্তি দের কথায়, “আমি নিজে প্রাক্তন ছাত্র। নিজের ভাল লাগবে যাতে পরবর্তী প্রজন্মের জন্য পড়াশুনোতে কোনও সমস্যা না হয়। প্রধান শিক্ষক আমাদেরকে আবেদন করেছিলেন তাই সাড়া দিয়ে এই টাকা সাহায্য করলাম ছাত্রদের কথা মাথায় রেখে।
কৌশিক অধিকারী